ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৮:৩৬:৫৫ এএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৩:২২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

দুই দেশ থেকে এলো ৪ জাহাজ সয়াবিন তেল

১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৩:২২ পিএম

দুই দেশ থেকে এলো ৪ জাহাজ সয়াবিন তেল

ছবি: সংগ্রহ

চট্টগ্রাম বন্দরে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল থেকে আনা ৫২ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে এসেছে চারটি ট্যাংকার। এই জাহাজগুলোর মধ্যে রয়েছে এমটি আরডমোর শায়ানি, এমটি ডাম্বলডোর, এমটি সানি ভিক্টরি ও এমটি জিঙ্গা থ্রেশার।

 

শনিবার প্রথম দুই জাহাজে ২১ হাজার পাঁচশ টন তেল আনা হয় এবং মঙ্গলবার বন্দরে পৌঁছেছে বাকি দুই জাহাজ, যেগুলোতে রয়েছে ৩০ হাজার ছয়শ টন তেল।

 

এই সয়াবিন তেল আমদানি করেছে সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এবং টিকে গ্রুপ। আমদানিকৃত তেলের মধ্যে টিকে গ্রুপের ২৫ হাজার টন, সিটি গ্রুপের ২০ হাজার টন এবং মেঘনা গ্রুপের সাত হাজার টন রয়েছে। টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার জানান, সরকারের মূল্য সমন্বয়ের আশ্বাসে আগেই ঋণপত্র খোলা হয়েছিল। নতুন মূল্য সমন্বয়ের ফলে আমদানি আরো বাড়বে এবং রোজার সময় সয়াবিনের সংকট হবে না।

 

সরকার সোমবার সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের মূল্য এখন ১৭৫ টাকা, যা আগে ছিল ১৬৭ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫৭ টাকা। বিশ্ববাজারে দুই মাস ধরে তেলের দাম বাড়লেও সরকার এতদিন তা সমন্বয় করেনি। কিন্তু পাইকারি বাজারে তেলের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার অবশেষে এ পদক্ষেপ নেয়।

 

বন্দরে আসা ৫২ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল পরিশোধনের পর বাজারে বোতলজাত হিসেবে বিক্রি হলে এর মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৯৯৬ কোটি টাকা। যা নতুন দাম বৃদ্ধির আগে ছিল ৯৫০ কোটি টাকা।

 

বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সাময়িক সংকট ছিল, তবে নতুন এই চালানে সংকট দূর হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানিকৃত তেল কাস্টমস নিয়ন্ত্রিত ট্যাংক টার্মিনালে সংরক্ষণ করে শুল্ক-কর পরিশোধের পর পরিশোধনের জন্য কারখানায় নেওয়া হবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাজারে পৌঁছাতে দু-এক সপ্তাহ সময় লাগবে। সরবরাহ বৃদ্ধি ও নতুন দামের সমন্বয়ে রোজার সময় বাজার স্থিতিশীল থাকার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দুই দেশ থেকে এলো ৪ জাহাজ সয়াবিন তেল