ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৮:৪৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ
দেশের বড় শিল্পকারখানায় স্থবিরতা: রড-সিমেন্টসহ নির্মাণখাতে চরম সংকট
৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৮:৪৬ এএম
![দেশের বড় শিল্পকারখানায় স্থবিরতা: রড-সিমেন্টসহ নির্মাণখাতে চরম সংকট](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/01/09/20250109084535_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
ডলারের উচ্চমূল্য, গ্যাস-বিদ্যুৎসংকট এবং পুঁজির অভাবে বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পকারখানাগুলো উৎপাদন স্থবিরতায় পড়েছে। নির্মাণখাতের রড ও সিমেন্টের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলো চরম সংকটে রয়েছে।
সিমেন্ট এবং রড শিল্পে চাহিদা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
- সিমেন্টের চাহিদা: ৩৫% হ্রাস।
- রডের চাহিদা: ৬৫%-৭০% পর্যন্ত হ্রাস।
নির্মাণশিল্পের "পিক সিজন" জানুয়ারি-মার্চ মাসেও চাহিদা না থাকায় উৎপাদনকারীরা দিশেহারা। রডের দাম প্রতি টন ১ লাখ ৭ হাজার টাকা থেকে কমে ৮৫-৯০ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। একইভাবে সিমেন্টের দাম প্রতি বস্তা ৪৭০-৫০০ টাকায় নেমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে মূলধনী যন্ত্র আমদানি ২৬% এবং আমদানি ঋণপত্র নিষ্পত্তি ২২% কমেছে।
- বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি: ৭.৬৬%, যা সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
- ডলারের দাম: ১২০-১৩০ টাকা, যা কাঁচামাল আমদানিতে সংকট সৃষ্টি করেছে।
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অভাবে রড ও সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন ক্ষমতার ৫০% পর্যন্ত কমিয়ে এনেছে। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, চলমান সংকট দীর্ঘায়িত হলে দেশীয় শিল্প এবং অর্থনীতি বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং ও স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান এস কে মাসুদুল আলম মাসুদ বলেন, "ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে রড ও সিমেন্টশিল্পের পুঁজি ৪০% পর্যন্ত কমে গেছে। সংকট নিরসনে সরকারি নীতি সহায়তা প্রয়োজন।"
পুঁজির ঘাটতি, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং জ্বালানি সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে শিল্পখাত স্থবির হয়ে পড়বে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে।
![দেশের বড় শিল্পকারখানায় স্থবিরতা: রড-সিমেন্টসহ নির্মাণখাতে চরম সংকট](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)