ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭:২০ এএম
অনলাইন সংস্করণ
দেড় মাস পর কাজে ফিরেছেন ন্যাশনাল টির শ্রমিকরা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭:২০ এএম
![দেড় মাস পর কাজে ফিরেছেন ন্যাশনাল টির শ্রমিকরা](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/18/20241218162107_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বকেয়া বেতনের টাকা না পেয়ে গত অক্টোবরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। দেড় মাস পর বেতন পরিশোধের পর শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চিঠির জবাবে গতকাল কোম্পানি জানিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন।
তথ্যানুসারে, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ন্যাশনাল টি কোম্পানির মালিকানাধীন তেলিয়াপাড়া ও জগদীশপুর চা বাগানসহ ১২টি চা বাগানে নিয়মিত শ্রমিক রয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এনটিসির পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা না পাওয়ার কারণে চা শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি, রেশন ও মাসিক বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ছয় সপ্তাহ মজুরি ছাড়াই কাজ করেন শ্রমিকরা। তারপর গত ২১ অক্টোবর থেকে বকেয়া মজুরি ও রেশনের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন ১২টি চা বাগানের শ্রমিকরা।
১ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে সংকট নিরসনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় শ্রমিকদের ছয় সপ্তাহের বকেয়া মজুরির মধ্যে দুই সপ্তাহের মজুরি পরিশোধ করা হবে। অবশিষ্ট বকেয়া মজুরি আগামী বছরের মার্চের মধ্যে কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। এরপর শ্রমিকদের দুই সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করা হয়। মজুরি পেয়ে শ্রমিকরা ১০ ডিসেম্বর কাজে যোগ দেন।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি ন্যাশনাল টি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯৬ টাকা ২৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৪ টাকা ৪৭ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ১৯ পয়সায়।
২০২১-২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল টির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩৪ টাকা ৪৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩১ টাকা ৬৮ পয়সা। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩১ টাকা ৬৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৫ টাকা ৭১ পয়সা।
ডিএসইতে গতকাল ন্যাশনাল টির শেয়ার সর্বশেষ ১৯৮ টাকায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৭৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৫২৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
কমিটিকে তদন্ত শেষ করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে বলা হয়, কমিশনের সম্মতিপত্রে উল্লিখিত সরকারের শেয়ার ৫১ শতাংশ বৃদ্ধির শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে ন্যাশনাল টির আবেদন অনুসারে মূলধন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রদত্ত সম্মতিপত্রের মেয়াদ (শেয়ারের চাঁদা গ্রহণের সময়সীমাসহ) আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে সংগৃহীত চাঁদার ক্ষেত্রে সরকারের শেয়ার ৫১ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত পরিপালিত না হলে কমিশনের পূর্বানুমোদন ছাড়া কোম্পানিটি ওই চাঁদা ব্যবহার করতে পারবে না।
এতে আরো বলা হয়, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ন্যাশনাল টি গত পাঁচ বছরে সরকারি শেয়ারধারণ হ্রাসের কারণ, শেয়ার বিক্রি বা হস্তান্তরের মাধ্যমে ওই কোম্পানির মূলধন কাঠামোর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন, শেয়ারের চাঁদা গ্রহণের সময় বাড়ানোর আবেদন প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় সংশ্লিষ্ট বিও হিসাবে শেয়ার ক্রেডিট করার কারণ, বর্তমান ঋণের দায়, তিন বছর ধরে ক্রমাগত লোকসানের কারণ, কোম্পানির শেয়ারদরের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কারণ ও মূলধন বৃদ্ধির সম্মতিপত্রে উল্লেখিত শর্ত পরিপালিত হয়েছে কিনা তা যাচাই করাসহ অন্যান্য বিষয়ে তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছে।
![দেড় মাস পর কাজে ফিরেছেন ন্যাশনাল টির শ্রমিকরা](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)