ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর দাবি
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:২৪ পিএম
![নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর দাবি](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/24/20241224122317_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশের বাজারে সস, ভিনেগার, আইসিং সুগার, চকলেট সিরাপ, বেবিফুডসহ প্রায় ১৭-২০ ধরনের আমদানিকৃত পণ্যে নকল এবং ভেজালের প্রকোপ বেড়েছে। এর ফলে জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে এবং সরকার প্রায় এক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায়, যেসব পণ্য দেশে উৎপাদন হয় না সেগুলোর ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং বাংলাদেশ ফুডস্টাফ ইমপোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফিসা) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ইউএসডিএ ফান্ডেড বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রজেক্টের সহায়তায় সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম থাকলে এবং উচ্চ শুল্কের কারণে পণ্যের দাম বেড়ে গেলে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল পণ্য তৈরি করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করে। এছাড়া বিদেশি ব্র্যান্ডের মোড়ক নকল করে এ ধরনের পণ্য বাজারজাত করা হয়।
বক্তারা উল্লেখ করেন, বিভিন্ন ধরনের সস, বেবিফুড, ভিনেগার, চকোলেট সিরাপ ও অলিভ অয়েলের মতো পণ্যের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২০০ কন্টেইনার। তবে নকল পণ্যের ছড়াছড়ির কারণে এর মাত্র দশ ভাগ আমদানি হচ্ছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয় ব্যাপকভাবে কমছে।
বাফিসার সভাপতি মোহাম্মদ বোরহান ই সুলতান বলেন, "উচ্চ শুল্কের কারণে আমদানি হ্রাস পাচ্ছে, অথচ নকল পণ্যের সরবরাহ বাজারে বেড়েই চলেছে। আমাদের অনেক আমদানিকারক এখন মাসে দুই-তিন কন্টেইনার পণ্য আনেন, যেখানে তারা আগে ২৫-৩০ কন্টেইনার আমদানি করতেন।"
বক্তারা নকল পণ্য চিহ্নিত করতে টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দেন। এছাড়া নিয়মিত বাজার তদারকি, ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।
ডিএনসিআরএপির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, "ভেজাল পণ্য রোধে নৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। এছাড়া শিক্ষার হার বাড়ানো এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে হবে।"
বাফিসার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, "আমদানিকৃত আসল পণ্যের তুলনায় নকল পণ্য প্রায় ৫০ শতাংশ কম দামে বাজারে পাওয়া যায়। এ ধরনের পণ্যের সহজলভ্যতা দেশের বাজারে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় বাধা তৈরি করছে।"
বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটির সদস্য ড. মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, গত বছর বাজার থেকে ১,৩৮১টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব পরীক্ষায় ২০ শতাংশ মানহীন পণ্য পাওয়া গেছে। ভেজাল কমানোর জন্য শাস্তির পরিবর্তে সচেতনতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
এ সেমিনারে ইআরএফ সভাপতি রেফায়েতুল্লাহ মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এবং বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। বক্তারা আরও বলেন, দেশে উৎপাদন হয় না এমন পণ্যগুলোর আমদানির শুল্ক হ্রাস করলে বাজারে নকল পণ্যের প্রভাব কমানো সম্ভব।
- ট্যাগ সমূহঃ
- ভেজাল পণ্য
- বাংলাদেশ বাজার
- আমদানি শুল্ক
- স্বাস্থ্য ঝুঁকি
- নকল পণ্য
![নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর দাবি](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)