ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৮:২৩:০৫ এএম

নতুন করে খেলাপির ঝুঁকিতে ব্যবসায়ীরা

২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:১৪ এএম

নতুন করে খেলাপির ঝুঁকিতে ব্যবসায়ীরা

ছবি: সংগ্রহীত

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত বড় সংকটের মুখে পড়েছে। শিল্প উৎপাদন ও রপ্তানি আয়ের পতন, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দুর্নীতি ব্যাংকিং খাতে স্থবিরতা নিয়ে এসেছে। খেলাপি ঋণ বাড়ার পাশাপাশি নতুন ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ সীমিত হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা কঠোর হওয়ায় ঋণ পরিশোধে সময়সীমা কমে আসায় ব্যবসায়ীদের চাপ বেড়েছে।

 

 

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যাংক খাতে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাটে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। লুটপাট হওয়া অর্থের বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এসব ঋণ এতদিন খেলাপি হিসেবে দেখানো হয়নি, যা এখন প্রকাশিত হচ্ছে। ফলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকায়, যা বছরের শুরুতে ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৫ সালের মার্চ নাগাদ খেলাপি ঋণ পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

 

 

ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট শিল্প উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। তৈরি পোশাক খাতসহ বিভিন্ন শিল্পে উৎপাদন কমেছে ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত। শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, রপ্তানি আয়ও কমেছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত না হলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি থমকে যেতে পারে বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদরা।

 

 

ব্যাংক খাতের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, যেমন ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়নে চাপ বাড়ছে। মূলধন ঘাটতি এবং প্রভিশন ঘাটতির কারণে অনেক ব্যাংক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৪ সালের জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ৩ শতাংশ লিভারেজ অনুপাত সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছে, যা ২০২৬ সালে ৪ শতাংশে উন্নীত হবে।

 

 

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্যাংকিং খাতে আস্থা ফেরাতে প্রয়োজন কার্যকর নীতিমালা এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ। শিল্পের জ্বালানি সংকট সমাধানে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি বিনিয়োগের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি।