ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩১ আগস্ট, ২০২৪ | ১:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
নতুন করে দাম বাড়ল মাছ মুরগি ডিমের
৩১ আগস্ট, ২০২৪ | ১:৩৯ পিএম
![নতুন করে দাম বাড়ল মাছ মুরগি ডিমের](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/08/31/20240831145721_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাজারে পণ্যমূল্য বাড়াতে ব্যবসায়ীরা এবার বৃষ্টি ও বন্যার অযুহাত দিচ্ছেন। এই অযুহাতে এ সপ্তাহে দাম বাড়ানো হয়েছে মাছ, মুরগি এবং ডিমের। তবে আলু, পেঁয়াজ, গরুর মাংস এবং সব ধরণের মসলার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুর ৬ নাম্বার কাচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
ডিম ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম প্রতি ডজন ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। ডিমের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ঢাকার বাজারে প্রতি ডজন ব্রয়লার মুরগির বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪৫-১৫৫ টাকা দরে। তবে গত দুই দিনে ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা বেড়েছে।
ডিমের মতোই আগের সপ্তাহের তুলনায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ৫-১০ টাকার মতো বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৬০-১৬৫ টাকা; যা শনিবার ১৬৫-১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগির দাম ২৪০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫০-২৬০ টাকা হয়েছে। সোনালী মুরগির কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। এছাড়া লাল কর্ক জাতের মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০০ টাকায়।
বন্যা ও বৃষ্টির কারণে অনেক জেলার মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারনে বাজারে ডিম ও মুরগির সরবরাহ কমায়, দামও বেড়েছে। এ বিষয়ে মিরপুর ৬ নাম্বার বাজারের মুরিগ ব্যবসায়ী মো রাজিব বলেন, ‘হঠাৎ করেই বাজারে মুরগির সরাবহা কমেছে। কারণ বন্যাকবলিত এলাকায় অনেক মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত সরবরাহ কমার কারণেই দাম বেড়েছে মুরগির। তবে বন্যা কমে আসলে সরবরাহ বাড়বে, তখন দামও কমে আসবে।’
এদিকে বাজারে মানভেদে মাছের দাম বেড়েছে। যেকোনো মাছ কিনতে ক্রেতাদের বিক্রেতার সঙ্গে দর কষাকষি করতে হচ্ছে। তাতেও সাধ্যের মধ্যে আসছে না পছন্দের মাছ।
বাজারে মাছের দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, বন্যার কারণে মাছ চাষিদের মাছ ভেসে গেছে। বাজারে প্রতি কেজি পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০-২৩০ টাকায়, চাষের কৈ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়, সরপুঁটি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে নদির মাছে আকাশ চুম্বি দাম। পাপদা ৫৫০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, রুই ৫০০, কাতল ৫০০, চিংড়ি ৭০০-৮০০, চাপিলা প্রতি কেজি ৬০০ টাকায়, রুপচাঁদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায়, টেংরা প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি।
বাজারে মাছের দাম বাড়তি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মাছ বিক্রেতা বলেন, বাজারে মাছের সরবরাহ অনেকটা কম। এর মূল কারণ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় মাছ চাষিদের মাছ ভেসে গেছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে। যে কারণে বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়ছে।
আরো এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন,বাজারে বাজারে চাষের মাছের দাম একটু কম। কিন্তু বাজারে তেমন ক্রেতা নেই। আগের মতো বেচাকেনাও নেই। কিন্তু নদির মাছের দাম বাড়তি।
![নতুন করে দাম বাড়ল মাছ মুরগি ডিমের](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)