ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৬:৫২:২৪ এএম

পরিবেশ উন্নত হলে বাংলাদেশে ইউরোপীয় বিনিয়োগ বাড়বে

৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:২৭ এএম

পরিবেশ উন্নত হলে বাংলাদেশে ইউরোপীয় বিনিয়োগ বাড়বে

ছবি: সংগ্রহ

ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

 

গতকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. আবদুর রহিম খান।

 


বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধি দল পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সহায়তা এবং লজিস্টিক সুবিধা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করে। তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশন বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করেন।

 

বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ আইএলও কনভেনশনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল এবং এর বাস্তবায়নে একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ অনুসরণ করছে। আমরা বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে কাজ করছি।”

 


অন্যদিকে, ঢাকায় একটি হোটেলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ক জাতীয় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আমাদের অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ তৈরি হবে। তবে, এর জন্য আমাদের মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং ব্যবসায়িক সংগঠনের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।”

 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) এবং সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ইইউ, আসিয়ান এবং এসএএসইসি-এর মতো গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

 


তিন দিনব্যাপী কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার মূল লক্ষ্য ডব্লিউটিওর নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান বাড়ানো এবং এই জ্ঞান কাজে লাগানোর সক্ষমতা উন্নত করা।

 

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক জর্জ ক্যাস্ট্রো এবং ডব্লিউটিও অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী বক্তৃতা করেন।

 


ইইউ-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও জোরদার করার উদ্যোগ দুই পক্ষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করে এবং মানবসম্পদের উন্নয়নে কাজ করে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পরিবেশ উন্নত হলে বাংলাদেশে ইউরোপীয় বিনিয়োগ বাড়বে