ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:১১:১৫ পিএম

পাঁচ মাসে বেড়েছে পরিশোধ, ধস নেমেছে প্রতিশ্রুতিতে

৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৫২ এএম

পাঁচ মাসে বেড়েছে পরিশোধ, ধস নেমেছে প্রতিশ্রুতিতে

ছবি: সংগ্রহ

গত সাড়ে ১৫ বছরে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে ঋণ নেওয়ার কারণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হচ্ছে। নতুন প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করায় বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতিও কমেছে।

 

বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতি

 

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বৈদেশিক ঋণ ছাড় হয়েছে ১৫৪ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। একই সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ১৭১ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩৩ কোটি ৬৩ লাখ ডলার বেশি।

 

ঋণের প্রতিশ্রুতিতে বড় ধস

 

চলতি অর্থবছরে মাত্র ৫২ কোটি ২৬ লাখ ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৮৫ কোটি ডলার। ইআরডি কর্মকর্তারা জানান, নতুন সরকার প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে অনুমোদন দিচ্ছে। ফলে প্রতিশ্রুতি কমেছে, তবে ভবিষ্যতে তা বাড়ার আশা রয়েছে।

 

বড় প্রকল্পে ঋণ পরিশোধের চাপ

  • পদ্মা রেল সংযোগ, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেলের মতো বড় প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে।
  • মেট্রোরেল বাদে অন্য প্রকল্পগুলো থেকে রিটার্ন না আসায় সরকারকে নিজের তহবিল থেকে ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে।

 

ঋণ পরিশোধে রেকর্ড চাপ

  • বিদায়ী অর্থবছরে রেকর্ড ৩৩৫ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৬৮ কোটি ডলার বেশি।
  • চলতি অর্থবছরে সুদসহ ঋণ পরিশোধের পরিমাণ সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

অর্থছাড় কমার কারণ

ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, “কাজের অগ্রগতি না থাকায় অর্থছাড় কমেছে। আন্দোলনের কারণে প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হয়েছে। তবে অগ্রগতি বাড়লে অর্থছাড়ও বাড়বে।”

 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

 

অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বব্যাংক ও এডিবির মতো উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ ও বাজেট সহায়তার জন্য আলোচনা করছে।

পাঁচ মাসে বেড়েছে পরিশোধ, ধস নেমেছে প্রতিশ্রুতিতে