ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:১৪:৫৬ এএম

পাইকারি ও খুচরা দোকানে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন

২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮:৩০ পিএম

পাইকারি ও খুচরা দোকানে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন

ছবি: সংগ্রহ

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় গত ১৫ দিন ধরে পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। তেল না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

 

বাজারে তেলের সংকট মনে করে অনেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনছেন। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। লোকজন বলছেন, হঠাৎ সয়াবিনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় যদিও দু’একটি দোকানে পাওয়া যাচ্ছিল সেখানেও বিপত্তি। বোতলের গায়ে লিখা দামের চেয়ে অধিক দাম ধরছেন ব্যবসায়ীরা।


তবে হঠাৎ করে এমন সংকটের জন্য লোকজন ব্যবসায়ীদের বোতলজাত, সয়াবিন তেলের ডিলার এবং কোম্পানিকে দোষারোপ করছেন। তারা বলছেন, তেলের সঙ্গে একই কোম্পানির চাল-ডাল, সুজি, হলুদ ও মসলা না নিলে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। কোম্পানিগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাদের যেসব পণ্যের চাহিদা বাজারে নেই, সেসব পণ্য না রাখলে তেল দিচ্ছেন না বলে দাবি করছেন সয়াবিন তেল বিক্রেতারা। এজন্য তারা দোকানে তেল রাখা বন্ধ করে দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।

 

বাঘার বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের বোতল সংকট। তবে কিছু দোকানে যত সামান্য সয়াবিনের বোতল দেখা গেলেও বোতলের গায়ে লেখা দামের চেয়ে অধিক দাম আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রায়ই ক্রেতাদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়াচ্ছেন দোকানীরা। অভিযোগ উঠেছে, অধিক মুনাফা লোভি দোকানিরা অধিক দামে খোলা তেল বিক্রি করছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

 

এক মুদি ব্যবসায়ী জানান, নতুন মোড়কের সয়াবিন তেলের বোতল বাজারে না আসা এবং হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন শুধু আমি নই, সকল ব্যবসায়ীরা আগের চেয়ে সয়াবিনের দাম কিছুটা বেশি রাখছেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হঠাৎ করে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ১৬৫ টাকা লিটার বিক্রি করা হলেও বর্তমানে ২০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা ১৯০ থেকে ২০০ টাকা লিটার হিসাবে বিক্রি করা হচ্ছে। এ দিক থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি না পাওয়ায় দোকানিরা বোতলের গায়ে দেয়া মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তাদের দাবি, আগে কম রেটে কেনা থাকলেও বর্তমানে বাজার মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে আমরা দাম ধরে নিচ্ছি।

 

মঙ্গলবার বাঘা সদরে অবস্থিত বাঘার হাটে বাজার করতে আসা শিক্ষক আব্দুল হামিদ বলেন, আমি কয়েকটি দোকানে গিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাইনি। যদিও সব সময় বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনে থাকি। কিন্তু বোতলজাত সয়াবিন না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি খোলা সয়াবিন তেল কিনেছি। তাও আবার দাম বেশি। এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকা নেয়া হচ্ছে।

 

সার্বিক বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শাম্মি আক্তার বলেন, আমি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো। যারা এ সকল কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাইকারি ও খুচরা দোকানে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন