ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৯ আগস্ট, ২০২৪ | ৮:৪৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ
পাইকারিতে ঊর্ধ্বমুখী ভোজ্যতেলের বাজার
২৯ আগস্ট, ২০২৪ | ৮:৪৮ এএম

ছবি: সংগ্রহীত
দেশে দীর্ঘদিন ধরে ভোজ্যতেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মূলত বেশ কয়েকটি শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা নিয়ে বিভ্রান্তি ও আমদানি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেক ব্যবসায়ী। এসব কারণে পাইকারিতে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে ভোজ্যতেলের বাজার।
দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে পাম অয়েলের দাম বেড়েছে মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) প্রায় ৪০০ টাকা।
এ অঞ্চলের ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া তথ্যানুযায়ী, গতকাল মণপ্রতি পাম অয়েল বেচাকেনা হয়েছে ৫ হাজার ২০০ থেকে ৫ হাজার ২২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫ হাজার ৮০ থেকে ৫ হাজার ১০০ টাকা। এছাড়া আগস্টের প্রথম সপ্তাহে পাম অয়েলের মণপ্রতি দাম ছিল ৪ হাজার ৮৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৯০০ টাকা। একইভাবে সুপার পাম অয়েলের দাম বেড়ে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৩০০ টাকায়। সয়াবিন তেল বেচাকেনা হয়েছে মণপ্রতি ৬ হাজার টাকায়।
ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে বলেন, ‘বিশ্ববাজারে মূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে দাম কমার কথা থাকলেও মিলগেটের সরবরাহ তুলনামূলক কমে আসায় প্রতি সপ্তাহেই দাম বাড়ছে।’
খাতুনগঞ্জের মেসার্স নূর আলম ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ছগীর আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতির কারণে কয়েকটি মিলের ভোজ্যতেল সরবরাহ কম। যার কারণে গাড়িগুলোকে মিলগেটে গিয়ে কয়েক দিনের সিরিয়াল নিয়ে বসতে থাকতে হচ্ছে।’
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির কারণে খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে চিড়া, মুড়িসহ অন্যান্য শুকনা খাদ্যপণ্যের সরবরাহ কমে গেছে। পাশাপাশি এ অঞ্চলে পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ অন্যান্য নিত্য ভোগ্যপণ্যের দাম সরবরাহ সংকটে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পাইকারিতে চিনি ও গমের দাম নিম্নমুখী। গতকাল প্রতি মণ চিনি (মিলগেট থেকে সরাসরি উত্তোলনযোগ্য) বেচাকেনা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ টাকায়। এদিন রাশিয়া ও ভারত থেকে আমদানি হওয়া প্রতি মণ গমের দাম ছিল ১ হাজার ৩৬০ টাকা। এছাড়া কানাডা থেকে আমদানি হওয়া গম বেচাকেনা হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি ও বেশ কয়েকদিন রাজনৈতিক সংকটে খাদ্যপণ্য উৎপাদনসহ ভাত ও খাবারের দোকান বন্ধ ছিল। তাই চাহিদা কমে যাওয়ায় পণ্য দুটির দাম কমছে।
খাতুনগঞ্জের মেসার্স হক ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আজিজুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতির কারণে কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে এ সময় কিছু পণ্যের চাহিদা কমায় দাম নিম্নমুখী হয়েছে।’
