বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর বলেছেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করা হবে। এসব আইনজীবী বড় অঙ্কের তহবিল উদ্ধারের জন্য কমিশন পাবেন। তিনি জানান, এই প্রক্রিয়া শুরুর ক্ষেত্রে বৈশ্বিক আইন মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন

অর্থ বিভাগে ৮১টি অস্থায়ী নন-ক্যাডার পদ সৃষ্টি ও ১৬টি পদ বিলুপ্ত

গভর্নর রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশির আয়োজিত ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর এনআরবি’র সভাপতি এমএস শেকিল চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন এবং প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

গভর্নর আরও বলেন, "পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারে আমরা বিদেশি সংস্থাগুলোর সাথে কাজ করছি। এর মধ্যে এফবিআইসহ আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একযোগে কাজ করা হচ্ছে।" তিনি চট্টগ্রাম-ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থ পাচারকে দেশের ইতিহাসে একটি বড় ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন।

ব্যাংকিং খাতে সাম্প্রতিক উন্নতি তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ছয় মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এছাড়া, একই সময়ে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

ড. আহসান এইচ. মনসুর বলেন, "পূর্বে দুবাই থেকেও তহবিল পাচার হতো, তবে স্বচ্ছতা এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে এখন এ ধরনের পাচারের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব হয়েছে।" তিনি ব্যাংকিং চ্যানেলে সরাসরি রেমিট্যান্স পাঠানোর গুরুত্বের ওপরও জোর দেন এবং প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রণোদনার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সঠিক শাসন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হবে এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা যাবে।