ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:৪৪:৪৫ এএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১০:৩৪ এএম

অনলাইন সংস্করণ

পাবনায় ঝুট কাপড়ে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১০:৩৪ এএম

পাবনায় ঝুট কাপড়ে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য

ছবি: সংগ্রহীত

পাবনার বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যবাহী হোসিয়ারি (বস্ত্র) শিল্পের পাঁচ শতাধিক কারখানার প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ঝুট কাপড় (গার্মেন্টের উচ্ছিষ্ট কাপড়)। এসব কারখানায় তৈরি হচ্ছে গেঞ্জিসহ পরিধেয় নানা বস্ত্র, যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। এতে বাণিজ্যের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

 

 

জানা গেছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুরসহ বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলের তৈরি পোশাক কারখানায় প্রতিদিন ফেলে দেওয়া নমুনা ও কাটিংয়ের কাপড়ই সম্ভাবনার জিয়নকাঠি হয়ে ফিরেছে পাবনার হোসিয়ারি শিল্পে। স্থানীয়রা জানান, ক্রমাগত চাহিদা বাড়ায় দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে এসব পোশাক এখন রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতায় পরিত্যক্ত কাপড়ের এ শিল্প অর্থনীতিতে সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে পারে।

 


সরেজমিন দেখা যায়, গত ১০ বছরে পাবনা সদর উপজেলার আশপাশে বিভিন্ন গ্রামে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা গড়ে তুলেছেন ঝুট কাপড় থেকে গেঞ্জি তৈরির পাঁচ শতাধিক কারখানা। প্রতিবছর এসব কারখানায় উৎপাদন হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ কোটি পিস গেঞ্জি, যার বাজারমূল্য ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা। কর্মসংস্থান হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষের। এখানকার তৈরি পোশাক দেশের চাহিদা মিটিয়ে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। অনেক বেকার যুবকই এ কাজ করে সপ্তাহে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা আয় করছেন। আবার অনেকে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে এসে নিজ এলাকায় কাজ করতে পেরে খুশি।

 


জমিলা খাতুন নামে এক নারী বলেন, ‘আমি আগে ঢাকার এক গার্মেন্টে কাজ করতাম। তখন যা আয় হতো, বাড়ি ভাড়া ও খাবার খরচ দিয়ে সব শেষ হয়ে যেত। এখন আমি নিজের বাড়িতে স্বামী-সন্তানের সঙ্গে থেকে মাসে ১৪-১৫ হাজার টাকা আয় করছি।’

 

 

রাশেদুজ্জামান রাসেল নামে এক হোসিয়ারি ব্যবসায়ী বলেন, ‘ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঝুট কাপড় কিনে তিনি গেঞ্জিসহ নানা ধরনের পোশাক তৈরি করছেন, যা এখন ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।’

 


পাবনা হোসিয়ারি ম্যানুফ্যাকচারার্স গ্রুপের সভাপতি মনির হোসেন পপি বলেন, একসময় পাবনার ঐতিহ্য ছিল হোসিয়ারি ব্যবসা। কাঁচামাল ও শ্রমিকের অভাবে ক্রমে তা হারিয়ে যাচ্ছিল। এখন ঝুট কাপড় দিয়ে পাবনার ৫৪২টি হোসিয়ারি কারখানা আবার সচল হয়েছে। এখন বছরে ১৮ থেকে ২০ কোটি পিস গেঞ্জি তৈরি হচ্ছে, যার বাজারমূল্য ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা। কর্মসংস্থান হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষের।

 


পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী বলেন, পাবনার হোসিয়ারি শিল্পের প্রসারে বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পণ্য রপ্তানিতে পাবনা চেম্বার সর্বাত্মক সহায়তা করবে।

পাবনায় ঝুট কাপড়ে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য