ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:২০:২৭ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৩১ এএম

অনলাইন সংস্করণ

পিছিয়ে পড়ছে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৩১ এএম

পিছিয়ে পড়ছে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম

ছবি: সংগ্রহ

দেশের সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ছয় মাস ধরে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি নতুন গ্রাহক নিবন্ধন কমে যাওয়ার কারণে কার্যক্রমে গতি হারিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার গত নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে কর্মসূচিটি চালু করলেও, বর্তমান সরকারের সময়ে তেমন সাড়া মেলেনি।

 

 

২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে কর্মসূচির প্রথম বছর পেরোনোর পর নিবন্ধনের সংখ্যা ১ লাখে পৌঁছেছিল। কিন্তু এরপর জুলাই থেকে নতুন গ্রাহকের সংখ্যা কমতে শুরু করে। জুলাইয়ে ২১,০৭০ জন, আগস্টে ১১,৯৭০ জন এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গড়ে ৩০০ জন করে নতুন গ্রাহক স্কিমে যুক্ত হন। জানুয়ারিতে সেই সংখ্যা মাত্র ১৬৬ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে ছয় মাস ধরে পেনশন স্কিমে সাড়ে ৫ কোটি থেকে ৭ কোটি টাকার মতো চাঁদা জমা পড়ছে, যার মোট পরিমাণ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫৪ কোটি ৫৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা।

 

 

এ কর্মসূচিতে চারটি স্কিম চালু করা হয়: 'প্রবাস' (প্রবাসীদের জন্য), 'প্রগতি' (বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য), 'সুরক্ষা' (স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য), এবং 'সমতা' (স্বল্প আয়ের জনগণের জন্য)। তবে এক বছরের বেশি সময় পরও অনেকেই জানেন না স্কিমটির সুবিধা ও অসুবিধা কী।

 

 

এনপিআর কর্তৃপক্ষ জানায়, জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এবং গত অক্টোবরের ১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের আওতায় পেনশন স্কিমের প্যাকেজে পরিবর্তন আসবে, যেগুলোর মধ্যে এককালীন আনুতোষিক, বিমা সুবিধা এবং সরকারি প্রকল্পে আবাসন সুবিধাসহ আরও কিছু নতুন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া, ভবিষ্যতে মৃত্যুজনিত পরিস্থিতিতেও পুরো জমা টাকা প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

 

 

 

এখন পর্যন্ত পেনশন স্কিমে জমা টাকা শুধুমাত্র ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে আবাসন, পাঁচতারা হোটেল এবং আন্তর্জাতিক হাসপাতালের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে পেনশন স্কিমে ১২টি ব্যাংক এবং এমএফএস (মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস) হিসেবে নগদ ও বিকাশ রয়েছে। আরও ১০টি ব্যাংকের সাথে চুক্তি করার প্রক্রিয়া চলছে।

 

 

স্কিমে এখন পর্যন্ত ৯টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে এবং আগস্টের পর আরও একটি প্রতিষ্ঠান এতে যোগ হয়েছে। প্যাকেজের সুবিধা বৃদ্ধি পেলে আরও বেশি গ্রাহক এতে যুক্ত হবে, এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

পিছিয়ে পড়ছে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম