ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৯:২৯:২৯ পিএম

পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে প্রায় ১ শতাংশ

২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:৪২ এএম

পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে প্রায় ১ শতাংশ

ছবি: সংগ্রহ

দেশের সার্বভৌম ঋণমান এক ধাপ অবনমনের পর বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি আমানতের পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডি’স। গতকাল এর প্রভাব পড়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে দশমিক ৯ শতাংশ। পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।


গতকাল ব্যাংক খাতের অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে। এর মধ্যে মুডি’সের অবনমনের তালিকায় থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে সিটি ব্যাংকের দশমিক ৯২, ইস্টার্ন ব্যাংকের দশমিক ৮৪ ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দশমিক শূন্য ২ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। অন্যদিকে ব্র্যাক ব্যাংকের দশমিক ৮১ শতাংশ দর বেড়েছে। এছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ারদর অপরিবর্বিত রয়েছে।


বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর সূচক প্রায় আধা ঘণ্টা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এর পর থেকে সূচক কমতে থাকে, যা লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত বজায় ছিল। গতকাল দিন শেষে ডিএসইএক্স ৪৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ২৪৫ পয়েন্ট। এছাড়া নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৯৩৫ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস প্রায় ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫২ পয়েন্টে।


গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার।

 

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮৩টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ২৬৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫৪টি সিকিউরিটিজের বাজারদর। গতকাল ডিএসইতে ৩৬৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৯৩ কোটি টাকা।

 

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ২ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ব্যাংক খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৯ শতাংশ দখলে নিয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। ১১ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ৭ দশমিক ১ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। আর ৬ দশমিক ৮ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে সাধারণ বীমা খাত।

 

গতকাল ডিএসইতে ইতিবাচক রিটার্নে শীর্ষ ছিল শুধু পাট ও বিবিধ খাত। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সাধারণ বীমা ও সেবা খাত।

 

এদিকে সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ৫৬ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৮৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ৮৮ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৫৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

 

এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২১৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ১৩২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৯টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ১২ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬ কোটি টাকা।

পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে প্রায় ১ শতাংশ