ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৬:৫৩:৫৩ পিএম

পোশাক খাতে সুবিধা পাওয়ার আশায় ব্যবসায়ীরা!

৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২:২৮ পিএম

পোশাক খাতে সুবিধা পাওয়ার আশায় ব্যবসায়ীরা!

ছবি: সংগ্রহ

মার্কিন নির্বাচন দেশের পোশাক খাত আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন দেশের তৈরি পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশি পোশাকপণ্যের একক বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। আর যদি চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনা কার্যকর করা হয়, তাহলে অনেক মার্কিন খুচরা পোশাক বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ড পোশাক পণ্যের সোর্সিং স্থানান্তর করার চেষ্টা করবে।

 

তবে বাইডেন প্রশাসন তার মেয়াদে চীনের প্রতি মার্কিন করনীতি অব্যাহত রাখলেও বাংলাদেশের রপ্তানি খুব বেশি বৃদ্ধি পায়নি। তবে কেউ কেউ মনে করেন, রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য অনেক কিছু দিতে পারেন, এ ছাড়া চীনা নীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

 


জানতে চাইলে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী হিসেবে বিশ্ববাণিজ্যে তাঁর একটি ইতিবাচক প্রভাব থাকবে। ফলে ব্যবসায়ীদের জন্য নেওয়া নীতিগুলো ব্যবসা সহায়ক হবে।

 

এ ছাড়া চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের আগের সরকারের শুল্ক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান, ব্র্যান্ড পণ্যের পোশাক সোর্সিং বাংলাদেশ থেকে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে দেশের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। তিনি আশা করেন, চীনের জন্য বিদ্যমান মার্কিন শুল্ক অব্যাহত থাকবে।

 


তবে সেই সুবিধা কাজে লাগাতে দেশের ব্যবসাবান্ধব নীতিতে সংস্কার আনতে হবে। বিশেষ করে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান, ব্যাংকের নীতিমালায় সংস্কার এবং কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্সেশন নীতির আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায় নীতিতে আরো পরিবর্তনসহ বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধ বা সমাধানের পাশাপাশি বাণিজ্য সম্ভাবনা বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

 

আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুটা অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যমুখী। তিনি স্থানীয় বাণিজ্যে বেশি গুরুত্ব দেবেন। ফলে বৈদেশিক অর্থছাড়ের ক্ষেত্রে সংকোচন নীতিতে চলবেন। এতে দেশটি থেকে বৈদেশিক সহায়তার অর্থছাড় কমতে পারে। বৈশ্বিক যুদ্ধ বন্ধে এর প্রভাব পড়বে।

 

এরশাদ বলেন, দেশের বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সংক্ষমতা বাড়াতে হবে। ব্যবসা সহজ করতে গুরুত্ব দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দিতে হবে। বিশেষ করে ইউএসটিআর ও ইউটিডিএফের সঙ্গে যৌক্তিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রভাব বাড়াতে হবে।

পোশাক খাতে সুবিধা পাওয়ার আশায় ব্যবসায়ীরা!