বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন, সার্কুলার ফ্যাশন, রিসাইক্লিং এবং জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতা আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন

মার্কিন বাজারে পোশাকের জিএসপি পূনর্বহাল চাইলেন শিল্প মালিকরা

গতকাল ঢাকার উত্তরায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কমপ্লেক্সে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ তথ্য জানান নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কার্সটেন্স।

সাক্ষাতে বিজিএমইএর প্রশাসক আনোয়ার হোসেন, বিজিএমইএ সাপোর্ট কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে পোশাক শিল্পের সাসটেইনেবিলিটি এবং নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলার পাশাপাশি শিল্পের পরিবেশবান্ধব অগ্রগতি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বিজিএমইএ টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ অনুসরণ করে পোশাক শিল্পের জন্য একটি উন্নত এবং টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই লক্ষ্য অর্জনে পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, উদ্ভাবন উৎসাহিতকরণ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, "বিজিএমইএ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।"

তিনি নেদারল্যান্ডস সরকারের কাছে আরও সহযোগিতা কামনা করেন, বিশেষ করে জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং তহবিল বরাদ্দের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের রিসাইক্লিং এবং পরিবেশগত দক্ষতা অর্জন করতে। তিনি দেশের তরুণদের জন্য নেদারল্যান্ডসের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউটগুলোর মাধ্যমে টেক্সটাইল, পোশাক ডিজাইন এবং ব্যবসা বিষয়ে আরও শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা চান।

নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কার্সটেন্স বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বলেন, "গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নেদারল্যান্ডস সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। আমরা ভবিষ্যতেও পোশাক শিল্পসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।"

এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের জন্য নেদারল্যান্ডসের অব্যাহত সহায়তার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।