ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
প্রতি বছর নতুন সৌর প্রকল্প চালু করবে ইউএই
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:০ পিএম
ছবি: সংগ্রহ
ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর বড় আকারের নতুন নতুন সৌর প্রকল্প চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানিমন্ত্রী। তিনি জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্লিন এনার্জি খাতে সুনির্দিষ্ট অর্জনের পাশাপাশি ২০৫০ সালের মধ্যে নিট শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্য রয়েছে দেশটির।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক জ্বালানি সম্মেলনে জানানো হয়, আরব বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ইউএই চলতি দশকের শেষ পর্যন্ত বছরে ‘এক বা দুটি’ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করবে।
দেশটির জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী সুহাইল আল মাজরুই জানান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় আরব আমিরাতের জ্বালানির চাহিদা বেড়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার নবায়নযোগ্য ও পারমাণবিক বিদ্যুৎসহ ক্লিন উৎস থেকে ৩০ শতাংশ জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায়। মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের কাছে প্রায় ছয় গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ সক্ষমতা রয়েছে। আমরা ১৫ গিগাওয়াট বিকাশের লক্ষ্য নিয়েছি এবং আশা করছি ২০৩০ সালের মধ্যে আরো বেশি হবে।’
গত বছর বিশ্বের বৃহত্তম সৌর প্রকল্পের একটি আল-ধাফরা সোলার পাওয়ার প্লান্ট চালু করেছে আবুধাবি। এটি দুই গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। কেন্দ্রটি দুই লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ফলে আবুধাবিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ বার্ষিক ২৪ লাখ টন কম হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা সড়ক থেকে প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার গাড়ি সরিয়ে দেয়ার সমান।
উত্তর আমিরাতকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আবুধাবি, যা মধ্যপ্রাচ্যের ‘সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রিড’ হিসেবে পরিচিত। এখানে কার্বনের তীব্রতা প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ২৭০ গ্রাম, যা বৈশ্বিক গড় ৪০০ গ্রামের বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইডের তুলনায় অনেক কম।
আবুধাবির বারাকাহ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বছরে ৪০ টেরাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুতের সমতুল্য।
এছাড়া ইউএইর লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে বার্ষিক ১৪ লাখ টন হাইড্রোজেন উৎপাদন নিশ্চিত করা। ২০৫০ সালের মধ্যে তা বার্ষিক দেড় কোটি টনে পৌঁছতে পারে।