ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:৪৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহী আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলো আশাবাদী বাংলাদেশ
৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:৪৬ এএম
![বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহী আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলো আশাবাদী বাংলাদেশ](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/08/20241208114625_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়ার আশায় পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল, ৯ ডিসেম্বর, শেষ হচ্ছে অফশোর বিডিং রাউন্ডের দরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা। ইতোমধ্যেই অনেক আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি দরপত্রের নথি সংগ্রহ করেছে এবং দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ফলে, কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে ভালো সংখ্যক কোম্পানি এই দরপত্রে অংশ নেবে।
পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা জানান, দরপত্রের সময়সীমা ৯ সেপ্টেম্বর ছিল, তবে কিছু কোম্পানির অনুরোধে তা বাড়িয়ে ৯ ডিসেম্বর করা হয়। ২০২৪ সালের 'বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড' এর আওতায় ২৪টি ব্লকের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়, যার মধ্যে ১৫টি গভীর সমুদ্র এবং ৯টি অগভীর সমুদ্র ব্লক রয়েছে।
পেট্রোবাংলা গত মার্চে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছিল এবং মে মাসে একটি প্রমোশনাল সেমিনারের আয়োজন করে, যেখানে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি অংশ নেয়। সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং এশিয়ার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বিডিংয়ের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
দরপত্রে নতুন মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি) অধীনে তেল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে, যেখানে আকর্ষণীয় সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোকে সিগনেচার বন্ড দিতে হবে না এবং রয়্যালটি প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকবে না। এছাড়া, গ্যাস অনুসন্ধান ও ড্রিলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিতে কোনো শুল্ক আরোপ করা হবে না।
গ্যাসের দাম ব্রেন্ট ক্রুডের মূল্যসূচকের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, যার ফলে গ্যাসের দাম বৈশ্বিক তেলের মূল্য ওঠানামার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। গ্যাসের দাম ব্রেন্ট ক্রুডের ১০ শতাংশ হিসেবে নির্ধারণ করা হবে, উদাহরণস্বরূপ, যদি ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল ৮৫ ডলারে বিক্রি হয়, তবে গ্যাসের দাম হবে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) ৮.৫ ডলার। এই মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অগভীর ও গভীর উভয় ব্লকের জন্য প্রযোজ্য।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রস্তাবিত ব্লকগুলোর গ্যাস রপ্তানি করা যাবে, এবং কোম্পানিগুলো তাদের মুনাফা বিদেশে পাঠাতে পারবে। চুক্তি অনুযায়ী, শেয়ার হস্তান্তর ও অংশীদারিত্ব স্থানান্তরের সুযোগ থাকবে, তবে বার্ষিক ব্যয় পুনরুদ্ধারের সীমা ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত হবে।
পেট্রোবাংলার এই পদক্ষেপে আশাবাদী আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলো আগামীদিনে গ্যাস অনুসন্ধানে অংশগ্রহণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের গ্যাস খাতের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
![বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহী আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলো আশাবাদী বাংলাদেশ](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)