বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্থিতিশীল এবং এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, “চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হাজার বছরের ইতিহাসে বিস্তৃত। আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সম্প্রীতি এবং পারস্পরিক লাভজনক সহযোগিতা বজায় রেখেছি।”

আরও পড়ুন

বৈশ্বিক অর্থনীতি স্থিতিশীল, ৩.২% প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে

আজ মঙ্গলবার  জাতীয় প্রেস ক্লাবে চীনের আপন মিডিয়া ক্লাব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে, আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এই উপলক্ষে দুই দেশ সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, খেলাধুলা এবং যুব বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে কাজ করবে। তিনি বলেন, “এটি জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের এবং একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ।”

রাষ্ট্রদূত আরও জানান, বর্তমানে ১৫ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চীনে উচ্চশিক্ষা নিতে আরও উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম বলেন, “গত ৫০ বছরে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়েছে। প্রযুক্তি এবং কৃষি খাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসাথে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “চীনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা দেশে ফিরে নতুন অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে চীনের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা চালু হতে পারে।”

অনুষ্ঠানে আপন মিডিয়ার সাথে বাংলাদেশের তিনটি সাংবাদিক সংগঠন- জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ সিনে জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং অন্যান্য অতিথির বক্তব্যে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ইতিবাচক দিক এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ওপর জোর দেওয়া হয়। আগামী বছর সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।