ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ২:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা স্থলবন্দর খোলা রাখার বিষয়ে আলোচনা
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ২:৩৪ পিএম
![বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা স্থলবন্দর খোলা রাখার বিষয়ে আলোচনা](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/11/14/20241114143408_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা স্থলবন্দর খোলা রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছে দুই দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) তাহমিনা ইয়াসমিন এবং ভারতের ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সঞ্জীব গুপ্ত প্রতিনিধিত্ব করেন।
ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের স্থলবন্দরগুলোর কার্যক্রম সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করেছে। এছাড়া, উত্তরবঙ্গের বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপাল ও ভুটানের জন্য পণ্য পরিবহন সহজ করার বিষয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে সঞ্জীব গুপ্ত ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সীমান্ত এলাকায় অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশেষভাবে, পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দরের দ্বিতীয় পণ্য প্রবেশদ্বারটি চালুর কাজ সম্পন্ন হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাহমিনা ইয়াসমিন বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি অবকাঠামোগত সুবিধা উন্নয়নের উপর জোর দেন।
এছাড়া, আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের গেদে (দর্শনা) এবং মেঘালয়ের ভোলাগঞ্জ বন্দরের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, পেট্রাপোল ও আগরতলায় দ্রুত রপ্তানি পণ্য ছাড়ের ব্যবস্থা, এবং গোজাডাঙ্গা-ভোমরা বন্দরে একটি যৌথ পণ্য প্রবেশপথ স্থাপন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক শেষে দুই দেশ সীমান্ত বাণিজ্য, আঞ্চলিক সংযোগ এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে এবং একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।
![বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা স্থলবন্দর খোলা রাখার বিষয়ে আলোচনা](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)