ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৮:০৩:৩২ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

১২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭:৫২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশি ক্রেতা সংকটে বিরান কলকাতার মার্কেট, সুনসান হোটেল

১২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭:৫২ পিএম

বাংলাদেশি ক্রেতা সংকটে বিরান কলকাতার মার্কেট, সুনসান হোটেল

ছবি: সংগ্রহ

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ভারত ভিসা কার্যক্রম সীমিত করে রাখায় বড় ধাক্কা লেগেছে কলকাতার ব্যবসা বাণিজ্যে।

 

ভিসাকেন্দ্রগুলো এখন কেবল জরুরি মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার জন্য সীমিত পরিসরে স্লট দিচ্ছে। তাতে পর্যটন বা বিভিন্ন কাজে যারা ভারতে যাতায়াত করতেন, তারা পড়েছেন বিপাকে। আর বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল কলকাতার স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও চরম দুঃসময় পার করছে।

 

বাংলাদেশিরা গিয়ে কলকাতার যে এলাকাগুলোতে ওঠেন, সেসব এলাকার হোটেলগুলো ‘খাঁ-খাঁ’ করছে। ক্রেতা সংকটে মুখ থুবড়ে পড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, কোভিড মহামারীর সময়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আর কঠোর বিধিনিষেধের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।

 

বাংলাদেশে গেল জুলাই-অগাস্টের গণআন্দোলনের পর থেকেই কলকাতার কিছু কিছু এলাকায় এমন পরিস্থিতি চলছে বলে খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

বাংলাদেশে থেকে যারা বিভিন্ন কাজে কলকাতায় যান, তাদের অনেকেই মার্কুইস স্ট্রিট, কিড স্ট্রিট, এসপ্লানেড ও নিউ মার্কেট এলাকার বিভিন্ন হোটেলে ওঠেন। সেখানকার ব্যবসায়ীরা অনেকাংশে বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের ওপর নির্ভরশীল।

 

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, সেন্ট্রাল কলকাতার দুই বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শতাধিক হোটেল ও ৩ হাজারের বেশি দোকানপাট ব্যাপকভাবে বাংলাদেশি মানুষের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু গত কয়েক মাসে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ একেবারে কমে যাওয়ায় সেখানকার ব্যবসা কমে গেছে ৭০ শতাংশ।

 

কলকাতা হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য মনোতোষ সরকার বলেন, “জুলাইয়ের পর থেকে মার্কুইস স্ট্রিটে আমার হোটেলের ৩০টি কক্ষের মধ্যে মাত্র চার-পাঁচটিতে লোকজন থাকছে। ছাত্র আন্দোলন আর শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার আগে হোটেলে একেবারেই ২৬-২৮ জন অতিথি থাকতেন।”

 

তার ভাষ্য, ডজনখানেক কক্ষের ছোট অনেক হোটেল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে, কারণ দুয়েকজন গ্রাহক নিয়ে হোটেল চালানো সম্ভব না।

 

“পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, মনে হচ্ছে আমরা ২০২১ সালে কোভিড-১৯ এর সময় পার করছি, যে সময়টাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল।”

 

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময়ে ভারতে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যাই ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু জুলাই থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়।

 

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পর কারফিউ জারি হলে ১৮ জুলাই থেকে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর দৈনিক ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রগুলো বন্ধ অব্যাহত থাকে।

বাংলাদেশি ক্রেতা সংকটে বিরান কলকাতার মার্কেট, সুনসান হোটেল