বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া আরও সহজ করেছে থাইল্যান্ড। এখন থেকে চিকিৎসা, সেমিনার ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান ক্যাটাগরিতে আবেদনকারীরা অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন। থাইল্যান্ডের দূতাবাস রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আরও পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার সাথে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ!

থাইল্যান্ডে জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা প্রয়োজন এমন গুরুতর রোগী, যেমন কেমোথেরাপি, বড় অস্ত্রোপচার, ক্যান্সার চিকিৎসা বা হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য ভিসা আবেদন সহজ করা হয়েছে। গর্ভবতী নারী, যাদের প্রসবের অপেক্ষা বা জটিলতা রয়েছে, তারা থাই হাসপাতাল অথবা বাংলাদেশে অবস্থিত হাসপাতালের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি অবস্থার স্বীকৃতি পেতে পারেন। প্রতিটি রোগীকে একজন অ্যাটেনডেন্ট নিয়ে যেতে অনুমতি দেওয়া হবে, আর অতিরিক্ত অ্যাটেনডেন্টের জন্যও আবেদন করা যাবে।

ব্যাংককে জাতিসংঘের সংস্থা বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আয়োজিত সম্মেলন, সেমিনার বা কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী আবেদনকারীদের ভিসা সুবিধার জন্য আয়োজক সংস্থাকে তাদের নাম ও যোগাযোগের বিবরণ থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠান সম্পর্কে অবহিত করার জন্য দূতাবাসে ই-মেইলও করতে পারবেন।

থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদদের জন্যও নতুন সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া সংস্থা বা ক্রীড়া কর্তৃপক্ষকে ভিসা সুবিধার জন্য তাদের নাম ও যোগাযোগের বিবরণ থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। ক্রীড়াবিদরা ইভেন্ট সম্পর্কে আগেই দূতাবাসে ই-মেইল করতে পারবেন।

এছাড়াও, দূতাবাস জানিয়েছে যে, ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করতে এবং আবেদন ও অর্থপ্রদান ব্যবস্থা আপগ্রেড করার জন্য তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তবে, ভিসা প্রক্রিয়াকরণে কমপক্ষে ১০ কার্যদিবস সময় লাগবে, তাই আবেদনকারীদের সময়মতো আবেদন জমা দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তবে, মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার থাই দূতাবাস বন্ধ থাকবে, এ বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। থাইল্যান্ডের এই নতুন উদ্যোগ বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আরও সহজ এবং দ্রুত ভিসা প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে, বিশেষ করে যারা চিকিৎসা, সেমিনার বা ক্রীড়া অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চান।