ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮:৫৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশে অভ্যুত্থান-পরবর্তী অর্থনীতি: বৈষম্য ও মূল্যস্ফীতির ফাঁদে জনগণ
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮:৫৯ এএম
![বাংলাদেশে অভ্যুত্থান-পরবর্তী অর্থনীতি: বৈষম্য ও মূল্যস্ফীতির ফাঁদে জনগণ](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/11/17/20241117085837_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশের জনকল্যাণমুখী বাজেটের ধারণা বহুদিন ধরে ম্লান হয়ে আসছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটও এর ব্যতিক্রম নয়। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি গণবিরোধী কাঠামো পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হলেও অভ্যুত্থানের ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও পূর্ববর্তী সরকারের দেয়া বাজেটই বহাল রয়েছে। অর্থনীতি, রাজস্ব, এবং মুদ্রানীতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি।
শেখ হাসিনা সরকারের দেড় দশকের শাসনামলে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে প্রায় ১৮৮ শতাংশ, এবং ওয়াসার পানির দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিও সাধারণ মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে এই দাম কমানোর সুযোগ ছিল, কিন্তু তা এখনো আগের পদ্ধতিতেই নির্ধারিত হচ্ছে।
অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে গত তিন বছর ধরে দেশের সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফীতির চাপে দিশেহারা। বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করলেও তা কাঙ্ক্ষিত ফল দেয়নি। অক্টোবরে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
অতিসংকোচনমূলক মুদ্রানীতির ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে তারল্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। শিল্প খাতে শ্রমিক অসন্তোষ ও বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা তৈরি পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য খাতকে হুমকির মুখে ফেলছে।
অভ্যুত্থানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা। তবে কার্যত, অভ্যুত্থান-পরবর্তী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কোনো কার্যকর পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। বরং জনগণের জীবনযাত্রা আরো কঠিন হয়ে উঠছে।
![বাংলাদেশে অভ্যুত্থান-পরবর্তী অর্থনীতি: বৈষম্য ও মূল্যস্ফীতির ফাঁদে জনগণ](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)