ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শুমারি: সঠিক তথ্য সংগ্রহে চ্যালেঞ্জের মুখে বিবিএস
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:৬ এএম
![বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শুমারি: সঠিক তথ্য সংগ্রহে চ্যালেঞ্জের মুখে বিবিএস](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/22/20241222100621_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশব্যাপী অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ পরিচালনা করছে। তবে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয়ের সঠিক তথ্য প্রদান না করার কারণে তথ্য সংগ্রহকারীরা বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন।
আরও পড়ুন
শুমারির তথ্য সংগ্রহকারীরা জানিয়েছেন, অনেক প্রতিষ্ঠান আয়-ব্যয়ের সঠিক তথ্য দিতে অনিচ্ছুক। তারা ভয় পাচ্ছেন এই তথ্য কর নির্ধারণে ব্যবহার হতে পারে। যদিও বিবিএসের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, এসব তথ্য কেবল সরকারি নীতিনির্ধারণের জন্য এবং আয়কর বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে না।
গতকাল ঢাকার আশুলিয়ায় সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকারীদের কার্যক্রম পরিদর্শনে দেখা গেছে, তারা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং খানায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। তথ্য সংগ্রহকারীদের অভিযোগ, গার্মেন্টসসহ বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে গড়িমসি করছে।
আশুলিয়ার সুপারভাইজার আমিরুল ইসলাম বলেন, "প্রায়ই দেখা যায় লোকেরা আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব দিতে ভয় পাচ্ছে। তবে যখন তাদের বোঝানো হয় যে এই তথ্য গোপন থাকবে এবং কোনো কর সংক্রান্ত নয়, তখন কিছু সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে।"
অর্থনৈতিক শুমারির উপপ্রকল্প পরিচালক মিজানুর ইসলাম স্বীকার করেন, সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা চ্যালেঞ্জিং। তিনি বলেন, "তথ্য সংগ্রহকারীদের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আয়-ব্যয়ের তথ্য পেতে বারবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।"
প্রকল্প পরিচালক এস এম শাকিল আখতার বলেন, "শুমারির কাজ প্রায় ৭৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ে এটি শেষ করার জন্য আমরা আশাবাদী। সঠিক তথ্য পেতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।"
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, "অর্থনৈতিক শুমারি দেশের আর্থিক পরিকল্পনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক তথ্যের অভাবে ভবিষ্যতে পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।"
এবার শুমারিতে প্রথমবারের মতো ট্যাবের মাধ্যমে ক্যাপি পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ১ কোটি ২২ লাখ ইউনিট চিহ্নিত করা হয়েছে। শুমারিতে দেশে কতজন বিদেশি কর্মী রয়েছেন এবং তারা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, সে সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের আর্থিক পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক শুমারির সঠিক তথ্য অপরিহার্য। এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে শুমারির উদ্দেশ্য পূরণ করতে বিবিএসের উদ্যোগগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
![বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শুমারি: সঠিক তথ্য সংগ্রহে চ্যালেঞ্জের মুখে বিবিএস](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)