ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৩১ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বাংলাাদেশ - ভারত ইতিবাচক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৩১ এএম
ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে ঢাকায় সফর করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। সফরকালে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য, পানি, বিদ্যুৎ, উন্নয়ন সহযোগিতা, সীমান্ত হত্যা রোধ এবং সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, ভারতের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা। তিনি বলেন, “আমাদের উভয় পক্ষের আকাঙ্ক্ষা হলো ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তোলা।”
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক কিছু দুঃখজনক ঘটনা ও ভুল বোঝাবুঝি সত্ত্বেও উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে দুই পক্ষই আন্তরিক।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে এবং বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি।” এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব মানুষই স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা করে আসছে এবং অপপ্রচারের সুযোগ নেই।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য ভারতকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তিনি তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে সরকারের আপত্তি তুলে ধরে বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি ভারতের নজরে এনেছে। পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, “শেখ হাসিনার বক্তব্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পছন্দ করছে না এবং এটি দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।”
বৈঠকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রসেস সহজ করার উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “উভয় দেশের সম্পর্কের মাঝে যে মেঘ এসেছে, তা দূর করতে দুই পক্ষই একমত।” একই সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের নেতৃত্বের ইতিবাচক মনোভাব এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।