ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:৩১ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট
২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:৩১ এএম
![বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/02/20241202103037_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশের বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। খুচরা বিক্রেতাদের তথ্য অনুযায়ী, কয়েকটি ব্র্যান্ড ছাড়া অধিকাংশ কোম্পানির বোতলজাত তেল বাজারে অনুপস্থিত। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের তেলের সংকট সবচেয়ে তীব্র। যদিও খোলা সয়াবিন এবং পাম তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে এবং এ দুটির দাম সামান্য কমেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, প্রায় এক মাস ধরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমালে সাময়িকভাবে সরবরাহ বাড়লেও সম্প্রতি তা আবার কমে গেছে। রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, মহাখালী এবং জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, চাহিদার তুলনায় তারা প্রয়োজনীয় তেল পাচ্ছেন না।
বাড্ডার মুদি বিক্রেতা মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আগে নিয়মিত ৫ থেকে ৬টি কোম্পানি তেল সরবরাহ করত। কিন্তু এখন মাত্র দুটি কোম্পানি কিছু তেল দিচ্ছে, যা দিয়ে চাহিদার ১০ শতাংশও পূরণ হচ্ছে না। ক্রেতারা তেল না পেলে অন্যান্য পণ্যও কিনছেন না।’
অন্যদিকে, কারওয়ান বাজারের বিক্রয় সহকারী বেলাল উদ্দিনের অভিযোগ, কোম্পানিগুলো ডিলারদের পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করছে না। তার মতে, দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে।
ভোজ্যতেল সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানের বিতরণ শাখার প্রধান জানান, এলসি (ঋণপত্র) খুলতে বারবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে আমদানিতে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। সরকার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে কমিয়েছে। এছাড়া পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন এবং পাম তেলের স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে আরোপিত ভ্যাটও মওকুফ করা হয়েছে।
বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৬৫-১৬৮ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৫৭-১৫৯ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। তবে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৭-১৭০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) নির্বাহী পরিচালক খলিলুর রহমান সজল বলেছেন, ‘সরকার ভ্যাট কমালেও কোম্পানিগুলো সরবরাহ বাড়ায়নি। এখনই যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে রমজানে সংকট আরও বেড়ে যেতে পারে। বাজারে খোলা তেল পাওয়া গেলেও তা ভেজালমুক্ত নয় বলে ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।’
তিনি সতর্ক করেন, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারকে তৎপর হতে হবে। রমজানের আগে ব্যবস্থা না নিলে সংকটময় পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।
![বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)