ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৫ মার্চ, ২০২৫ | ৯:৫৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বাজেট সহায়তার অর্থ পাচ্ছে না সরকার
৫ মার্চ, ২০২৫ | ৯:৫৪ এএম

ছবি: সংগ্রহ
বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কারের শর্তে বাজেট সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিলেও, সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন এখনো শুরু হয়নি। ফলে, প্রতিশ্রুতির ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাপান বাজেট সহায়তার কোনো অর্থ ছাড় করেনি।
অর্থবিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে ২ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়ার আশা করেছিল সরকার। তবে এখন পর্যন্ত সেই সহায়তা পাওয়া যায়নি, যা সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ওপর প্রভাব ফেলছে।
এডিবি বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, তবে এর জন্য সরকারকে ব্যাংক খাত সংস্কারের শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশেষ করে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালকের সংখ্যা ও কার্যকাল কমানো অন্যতম শর্ত। এ লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে আর্থিক খাত সংস্কার কমিশন গঠন করেছে এবং ব্যাংক খাত শক্তিশালীকরণ ও পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য পৃথক তিনটি টাস্কফোর্সও গঠন করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক ও এডিবি ১.১ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তার প্রস্তাব তাদের বোর্ডে জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল গত নভেম্বরে। তবে চার মাস পার হলেও সরকারকে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি জানানো হয়নি।
অর্থবিভাগের অন্য এক সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দিকে উন্নয়ন সহযোগীরা বাজেট সহায়তায় আগ্রহী থাকলেও, ছয় মাস পর তা অনেকটা শিথিল হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি, সরকারের পক্ষ থেকে নেগোসিয়েশনের তৎপরতা কিছুটা কমে যাওয়ায় সহায়তা ছাড়ের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে বেগবান করতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার এবং এডিবি ৬০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা অনুমোদন করেছিল, যা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বাজেট সহায়তার বাইরে বিশ্বব্যাংক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতে ৩৭৯ মিলিয়ন এবং চট্টগ্রামে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২৮০ মিলিয়ন ডলার প্রকল্প সহায়তা অনুমোদন করেছিল, যা তখনই ছাড় করা হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, বাজেট সহায়তা নিশ্চিত করতে সরকারের নেগোসিয়েশন কার্যক্রম জোরদার করা জরুরি। একই সঙ্গে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে উন্নয়ন সহযোগীরা প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড় করতে আগ্রহী হয়।
