ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:১৪:০৪ পিএম

বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে

৩১ অক্টোবর, ২০২৪ | ১১:০ পিএম

বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে

ছবি: সংগ্রহ

দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে ভাটা পড়েছে। ২০২২- ২৩ অর্থবছরের তুলনায় পরের অর্থবছরে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে এই বিষয়টি উঠে এসেছে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে নিট বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার, আগের অর্থবছর শেষে যা ছিল ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ১৪২ মিলিয়ন ডলার। মূলত বিদেশ থেকে যত বিনিয়োগ আসে এবং সেই সময়ে আগের বিনিয়োগের অর্থ পরিশোধ করার পর বিয়োজন করলে যা অবশিষ্ট থাকে সেটিই নিট বিনিয়োগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি এসেছে বস্ত্র খাতে। পরের অবস্থানে ছিল ব্যাংকিং, ওষুধ ও জ্বালানি খাত।

 

অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরেই অর্থনীতিতে নানা রকমের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাতে অনেক কারণেই কমেছে বিদেশি বিনিয়োগ।

 

চলতি বছর বাংলাদেশের ঋণমান সূচক কমিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা ফিচ। রেটিং নেতিবাচক করার কারণ হিসেবে বলা হয়, রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং ডলারের সরবরাহ সংকট বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ পরিশোধের মতো বাহ্যিক বিষয়গুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

 

সংস্থাটি ঋণমান কমার প্রধান কারণ হিসেবে বলছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক অর্থায়নের চাহিদার চেয়ে জোগান কম। বৈদেশিক লেনদেন স্থিতিশীল নয়। অর্থাৎ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার জোগানের যা চাহিদা তা রেমিট্যান্স ও রফতানির মাধ্যমে যা আয় হয় তার চেয়ে অনেক বেশি। এতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। এটি চাপ তৈরি করেছে অর্থনীতিতে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ডলারের দাম ছিল ১০৮ টাকা ৪০ পয়সা, বর্তমান দর ১২১ টাকা। এক বছরে দাম বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছর ডলার দর নির্ধারণ করার জন্য 'ক্রলিং পেগ' পদ্ধতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলারের দর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তাই ডলার বাজার আগের মতো অস্থিতিশীল নয়। ধীরে ধীরে এ বাজারকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে