ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:১২ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে বকেয়া ৪৫ হাজার কোটি টাকা
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:১২ এএম
![বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে বকেয়া ৪৫ হাজার কোটি টাকা](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/01/26/20250126101231_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বকেয়া বিল ফের বাড়তে শুরু করেছে, যা আগামী গ্রীষ্মকাল ও রমজান মাসে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহে সংকট তৈরি করতে পারে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও গ্যাস সরবরাহকারী বিদেশি কোম্পানিগুলো সরকারের কাছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া দাবি করছে, যার মধ্যে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর পাওনা ৩৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি। গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর বকেয়া প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।
সরকারকে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও, বকেয়া পরিশোধে গড়িমসি হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটতে পারে। বিদেশি কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, যদি চলতি মাসের মধ্যে বকেয়ার বড় একটি অংশ পরিশোধ না করা হয়, তাহলে এলএনজি ও ফার্নেস অয়েল আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে, যার ফলে গরম ও রমজান মাসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের চাহিদা পূরণে সমস্যা সৃষ্টি হবে। গত গ্রীষ্মে পায়রা, রামপাল, এস আলমসহ অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোডশেডিং বেড়ে যায়।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, প্রায় ছয় মাসের বকেয়া বিল মেটানোর জন্য সরকারকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পাওনা প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। আদানি গ্রুপের প্রায় ১০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে, এবং পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
এছাড়া, বহুজাতিক কোম্পানি শেভরনও প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা পাওনা দাবি করছে, যার মধ্যে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা শিগগিরই পরিশোধ করতে হবে, নতুবা গ্যাস উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি হবে। এলএনজির বকেয়া পাওনা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছে, যা শীঘ্রই পরিশোধ না করা হলে এলএনজি আমদানি ব্যাহত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, যদি বকেয়া পরিশোধে বিলম্ব হয়, তবে গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট আরও তীব্র হতে পারে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে আমদানিনির্ভরতা এবং এলসি খোলার জন্য প্রয়োজনীয় সময়ের বিষয়টি চিন্তা করে এখনই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
বর্তমানে, বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে এবং আগামী গ্রীষ্মে ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত চাহিদা পৌঁছাতে পারে। এজন্য একদিকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি প্রয়োজন, অন্যদিকে বকেয়ার কারণে তা পাওয়া কঠিন হতে পারে, যা সামনের দিনগুলোতে লোডশেডিং বাড়ানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত বকেয়া পরিশোধের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংশ্লিষ্টরা।
- ট্যাগ সমূহঃ
- বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে
- বকেয়া
![বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে বকেয়া ৪৫ হাজার কোটি টাকা](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)