ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১:৫৫:১৩ পিএম

বিশ্ব বাজারে কমলেও দেশে বেড়েছে চালের দাম

১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৪:৩৬ পিএম

বিশ্ব বাজারে কমলেও দেশে বেড়েছে চালের দাম

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশের চালের বাজার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। রমজান মাসের পূর্বে সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক ও কর ছাড় দিলেও, তবুও বাজারে চালের দাম কমছে না। বিশেষ করে কৃষকের ঘরে আমন ধান উঠলেও দাম বেড়েই চলেছে।

 

 

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে চালের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, অথচ একই সময়ে বিশ্ব বাজারে চালের দাম কমেছে ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।

 

 

বাংলাদেশের বাজারে বছরে চালের চাহিদা ৩ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৩ কোটি ৮০ লাখ টন, এবং রমজান মাসেই চাহিদা থাকে ৩০ লাখ টনের মতো। তবে প্রতি বছর দেশে চাল উৎপাদন হয় ৪ কোটি ৬ লাখ ৯৫ হাজার টন, অর্থাৎ চালের কোনো সংকট থাকার কথা নয়।

 

 

এদিকে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চালের এলসি খোলার পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬৬৬ দশমিক ৪৩ টন, যার মধ্যে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৫২৬ দশমিক ৫১ টন চাল আমদানি হয়েছে। এর পরও বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

 

 

বিটিটিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৫ জানুয়ারি মোটা চালের দাম প্রতি কেজি ছিল ৫০-৫৫ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪৮-৫০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে ৫ জানুয়ারি প্রতি টন চালের দাম ছিল ৫২৫ ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ৬৫২ ডলার।

 

 

এমন পরিস্থিতিতে, শুল্ক ও কর ছাড় দেওয়ার পরও দেশের বাজারে চালের দাম কমেনি। ২০ অক্টোবর থেকে চাল আমদানিতে মোট শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হয়, এবং ৩১ অক্টোবর বাকি শুল্কও প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে শুধু ৩ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) বহাল রয়েছে।

 

 

এভাবে, সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও চালের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, যা দেশের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ব বাজারে কমলেও দেশে বেড়েছে চালের দাম