ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:০৭:০৯ পিএম

বিশ্ববাজারে চিনি-পাম তেলে স্বস্তির খবর, বাড়ছে গমের দাম

২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৪৩ এএম

বিশ্ববাজারে চিনি-পাম তেলে স্বস্তির খবর, বাড়ছে গমের দাম

ছবি: সংগ্রহ

বিশ্ববাজারে বিভিন্ন পণ্যের দামে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। পামতেল ও চিনির ক্ষেত্রে নিম্নমুখী প্রবণতা থাকলেও গমের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।

 


মালয়েশিয়ার পুঁজিবাজার বুশরা মালয়েশিয়া জানিয়েছে, ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত অপরিশোধিত পামতেলের দাম ক্রমাগত কমবে।

 

 

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সরবরাহের জন্য প্রতি মেট্রিক টন পামতেল বেচাকেনা হচ্ছে ৪৮৬৩ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা ১০৮৪.৪৫ মার্কিন ডলারে। মার্চে সরবরাহের চাহিদায় প্রতি মেট্রিক টনের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৯১ ডলার। আগস্টে দাম কমে ৯১০.৯৬ ডলার হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তবে বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে দাম কিছুটা বেড়ে ৯১২ ডলার হতে পারে।

 

ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বর মাসে চিনির দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ডিসেম্বরের ৩ তারিখে প্রতি মেট্রিক টন চিনি বেচাকেনা হয়েছে ৫৫২.৪০ মার্কিন ডলারে। ৩০ ডিসেম্বর প্রতি মেট্রিক টনের দাম কমে ৫০৪.৫০ ডলার হয়েছে। ২৭ দিনে প্রতি মেট্রিক টনে চিনির দাম কমেছে প্রায় ৪৮ ডলার।

 


ট্রেডিং ইকোনোমিকস জানিয়েছে, গমের বিশ্ববাজারে ২০২৪ সালে অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেছে। সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখ থেকে গমের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ববাজারে প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম ছিল ৫৪৯.৭৫ ডলার। ২০২৪ সালে গমের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২৪ মে, প্রতি মেট্রিক টন ৭১৫ ডলার। বছরের শেষে এসে গমের দাম কমেছে প্রায় ১৬৪ ডলার।

 

বাংলাদেশের বাজারে আমদানিকৃত পণ্যের তালিকায় পামতেলের অবস্থান প্রথম দিকেই থাকে। পামতেলের বিশ্ববাজারে দাম কমার ফলে দেশের বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। চিনির দাম কমার কারণে দেশীয় বাজারে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গমের দাম বৃদ্ধির ফলে এর বিপরীত প্রভাব পড়তে পারে, যা রুটি ও বেকারি পণ্যের দামে বাড়তি চাপ তৈরি করতে পারে।

 


বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্যের ওঠানামার প্রভাব দেশীয় বাজারেও অনিবার্য। তবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সঠিক সময়ে আমদানি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্ববাজারে চিনি-পাম তেলে স্বস্তির খবর, বাড়ছে গমের দাম