ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:৫৬:৩৫ পিএম

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকায় নামবে ৫০০ বিদ্যুচ্চালিত বাস

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:০ পিএম

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকায় নামবে ৫০০ বিদ্যুচ্চালিত বাস

ছবি: সংগ্রহ

রাজধানী ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নামানো হবে ৫০০ বিদ্যুচ্চালিত বাস। বাসগুলো পরিচালনা করা হবে কোম্পানিভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলে। বাস সংগ্রহ, আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের এসব কাজ করা হবে ‘‌বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রজেক্ট’-এর মাধ্যমে। এ প্রকল্পের আওতায় পরিবহন খাতে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) অনুকূলে ১৫০-২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।


গতকাল ডিটিসিএর কার্যালয়ে প্রস্তাবিত প্রকল্পটির ওপর অনুষ্ঠিত এক অংশীজন সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


সভায় বিশ্বব্যাংকের উপস্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, প্রকল্পটির মাধ্যমে ৫০০টি ই-বাস সংগ্রহ করা হবে, যেগুলোর ব্যাটারি সক্ষমতা থাকবে ২৭৫-৩০০ কিলোওয়াটের মধ্যে। একই প্রকল্পের মাধ্যমে চালক ও পরিবহন রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ১ জুলাই ২০২৫ থেকে ৩০ জুন ২০৩০ পর্যন্ত। বাস সংগ্রহ, ডিপো নির্মাণ, আইটিএস ও বাস পরিষেবা পুনর্গঠনের কাজে ১১০-১৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। আর বিআরটিএর জন্য ভেহিকল ইন্সপেকশন সেন্টার স্থাপনে ব্যয় হবে ৪০-৫০ মিলিয়ন ডলার।

 

এর বাইরে প্রকল্পটির মাধ্যমে বাস পরিষেবা আধুনিকায়নের জন্য একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এ কর্মসূচির আওতায় ইলেকট্রনিক ভাড়া আদায় ব্যবস্থা, যাত্রী তথ্য ব্যবস্থাপনা, ওয়েবসাইট ও অ্যাপ নির্মাণ, ডাটা সেন্টার, অপারেশনস কন্ট্রোল সেন্টার গড়ে তোলার কাজ করা হবে।

 

ঢাকা মহানগরে পরিবহন খাত থেকে কার্বন নিঃসরণ কমানো ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনা প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন ডিটিসিএর কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ ও বায়ুমান উন্নয়ন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়ন, সবার জন্য প্রবেশগম্য গণপরিবহন সম্প্রসারণ, যানজট প্রশমন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করবে। ‌

 

প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সিটি বাস সার্ভিস ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন পরিকল্পনা, ইলেকট্রিক বাস ক্রয় (বিভিন্ন মোডালিটি ও অন্যান্য অর্থায়নের ওপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য ২৫০-৫০০টি), পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, নতুন বাস ডিপো স্থাপন ও বিদ্যমান ডিপোর অবকাঠামো উন্নয়ন (সম্ভাব্য ১০টি), বাস স্টপেজ নির্মাণ ও উন্নয়ন, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) স্থাপন এবং কারিগরি সহায়তা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নীতিমালা প্রণয়ন।

 

প্রকল্পটি সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌প্রকল্পটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।’

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকায় নামবে ৫০০ বিদ্যুচ্চালিত বাস