ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:৩৭:৫০ এএম

বেনাপোল স্থলবন্দরে অচলাবস্থা

৭ আগস্ট, ২০২৪ | ৯:২৯ এএম

বেনাপোল স্থলবন্দরে অচলাবস্থা

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর গত সোমবার দুপুরের পর ভারতের পেট্রাপোল থেকে পণ্যবোঝাই কোনো ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি কিংবা কোনো ট্রাক ভারতে যায়নি। বন্দরে পণ্য খালাসও বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল ও পেট্রাপোলে এখন দেড় হাজারের বেশি ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকে রয়েছে।


বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘সোমবার দুপুর পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি হয়েছে। এর পর থেকে নিরাপত্তাহীনতার কারণে পণ্য খালাস ও আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পেট্রাপোল পোর্ট ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই আবার কার্যক্রম শুরু হবে।’

 

বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই অস্থিরতা শুরু হয়। পণ্য ওঠানো-নামানো ঠিকাদার ও শ্রমিক সরদারদের বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ায় তারা বন্দর থেকে সরে পড়েন। মূলত এ কারণে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

 

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১১৫টি ট্রাক বোঝাই পণ্য আমদানি এবং ৩৯টি ট্রাক বোঝাই পণ্য রফতানি হয়েছে। কিন্তু আজ বিকাল ৫টা পর্যন্ত যেহেতু বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি হয়নি, সে কারণে বাংলাদেশে ঢুকতে ১ হাজারের বেশি ট্রাক পেট্রাপোলে অপেক্ষা করছে। ভারতে যেতে বেনাপোলে পণ্যবোঝাই ৬০টি ট্রাক অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় ৬০০টির মতো পণ্যবোঝাই ট্রাক বেনাপোলে রয়েছে। কিন্তু পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না।

 

বেনাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোলে পণ্যবোঝাই দেড় হাজারের বেশি ট্রাক আটকে রয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি ছিল। আমরা বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি।’

 

বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে সপ্তাহের প্রতিদিনই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য চলাচলের অনুমোদন রয়েছে। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি ও ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়।

 

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর জন্য বিএনপি, ব্যবসায়ী নেতা এবং প্রশাসনের ব্যক্তিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দ্রুত বন্দর সচল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

বেনাপোল স্থলবন্দরে অচলাবস্থা