ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:৪৮:৩৩ পিএম

ভরা মৌসুমেও বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম

১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৩২ এএম

ভরা মৌসুমেও বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম

ছবি: সংগ্রহীত

ভরা মৌসুমেও জয়পুরহাটের বাজারগুলোতে সব ধরনের চালের দাম বেড়ে গেছে। প্রকারভেদে মোটা ও চিকন চালের দাম প্রতি কেজিতে ৩-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন।

 

 


জয়পুরহাটের পৌর বাজারগুলোর খুচরা চাল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত এক মাস ধরে চালের দাম বাড়তির দিকে। মহাজনের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনে সামান্য লাভ রেখে বিক্রি করছেন তারা। জয়পুরহাটের ঝিরাশাল চাল এখন প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের তুলনায় ৬ টাকা বেশি। কাটারি চালের দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৭০-৭৫ টাকা, বিআর-২৮ চালের দাম ৭০ টাকা, এবং স্বর্ণা-৫ চালের দাম ৬০ টাকায় পৌঁছেছে।

পদ্মা রাইস মিলের চিকন কাটারি চালের দাম ৭৮ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৮৫ টাকা প্রতি কেজি খুচরা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানিকৃত কাটারি চালও ৭৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

 


জয়পুরহাটের বাসিন্দা প্রতুল চন্দ্র জানিয়েছেন, স্থানীয় মিলে উৎপাদিত চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি ভারতের কাটারি চাল কিনতে বাধ্য হয়েছেন। অন্যদিকে, স্বল্প আয়ের মানুষ যেমন রিকশাচালক আব্দুল আলীম এবং চর্মকার মন্টু রবি দাশ জানিয়েছেন, চালের দাম বৃদ্ধির ফলে তাদের দৈনন্দিন ব্যয় বেড়ে গেছে। তারা স্বর্ণা-৫ চাল কিনলেও এখন ৫-৬ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

 

 


খুচরা বিক্রেতারা মনে করছেন, সরকার বেশি পরিমাণ চাল আমদানি করলে বাজারের বড় মিল মালিকরা বাধ্য হবে দাম কমাতে। তাদের দাবি, ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে মিলাররা উচ্চমূল্য ধরে রাখছে, যা ভোক্তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।

 

 


জয়পুরহাট জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি কেএম লায়েক আলী জানিয়েছেন, এ বছর বন্যায় ধানের ক্ষতির কারণে বাজারে সরবরাহ কম। সরকার নির্ধারিত মজুদ আইনের তুলনায় মিলারদের কাছে কম পরিমাণ ধান-চাল মজুদ আছে। তিনি সরকারের কাছে দ্রুত চাল আমদানি ও সরবরাহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

 


চালের দাম বৃদ্ধির কারণে জয়পুরহাট জেলা বাসদ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও পথসভা করেছে। তারা রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে চালসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রির দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি, মজুতদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি করা হয়েছে।

 

 


চালের দাম বৃদ্ধি জয়পুরহাটের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ব্যবসায়ীরা ও ভোক্তারা উভয়েই বাজার স্থিতিশীল করতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বিশেষত, চাল আমদানির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা এখন সবচেয়ে বেশি।

ভরা মৌসুমেও বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম