ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৮:১২:৩৭ পিএম

ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:১২ এএম

ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগ্রহ

প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা না করায় ভারতকে ‘অসহযোগী দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই) জানায়, ভারত সাক্ষাৎকার গ্রহণ, নির্ধারিত ফ্লাইটে নাগরিকদের ফেরত নেওয়া, এবং সময়মতো ভ্রমণ নথি ইস্যু করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


এই ঘোষণার ফলে ভারত এখন যুক্তরাষ্ট্রের অসহযোগী দেশের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। এর আগে এই তালিকায় ছিল ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া এবং ভেনিজুয়েলা। আইসিই জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ১৪ লাখ ৫০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা করেছে, যার মধ্যে ১৮ হাজার অভিবাসী ভারতের নাগরিক।

 

আইসিই-এর তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই পাঞ্জাব, গুজরাট এবং অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা।


মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি ২০২৩ সালের সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে আওয়ামী লীগ সরকার প্রায়ই রাজনৈতিক বিরোধীদের কার্যক্রমকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে প্রচার করেছে।


প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে, বিশেষ করে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং নব্য জেএমবি’র মতো গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে।


প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হামলায় তিন সেনা নিহত হয়েছেন।


২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার বিতর্কিত ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে। নতুন আইনটি অনলাইনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অনলাইনে উগ্রবাদের প্রসার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।


ডিসেম্বর ২০২৩-এ নিষিদ্ধ গোষ্ঠী হিযবুত তাহরীরের দুই সদস্যকে অনলাইন সম্মেলনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। বাংলাদেশ সরকার অনলাইনে উগ্রবাদ ঠেকাতে পুলিশের ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলে প্রতিবেদন উল্লেখ করেছে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের এই দুটি ভিন্ন সিদ্ধান্ত বিশ্বমঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।

 

ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র