ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:০৭:৫০ এএম

ভারতীয় ভিসা সংকটের প্রভাব: বাংলাদেশের রোগী কমায় চিকিৎসা খাতে বিপর্যয়

৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৩৮ এএম

ভারতীয় ভিসা সংকটের প্রভাব: বাংলাদেশের রোগী কমায় চিকিৎসা খাতে বিপর্যয়

ছবি: সংগ্রহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি রোগীরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে যাওয়ায় ভারতের হাসপাতালগুলোর বিদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

 

 


ভারতের স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাংলাদেশি রোগীরা একটি বড় অংশ দখল করে। প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ বিদেশি রোগী চিকিৎসার জন্য ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে যান, যার ৬০ শতাংশই বাংলাদেশি। ২০২৩ সালে ভারতের মেডিকেল ট্যুরিজম খাত থেকে ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার (৭৭ হাজার ১৮৯ কোটি রুপি) আয় হয়েছিল। তবে ভিসা সংকটের কারণে এই আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে।

 


ভারতে চিকিৎসার জন্য ভিসা পেতে বাংলাদেশিদের এখন চরম বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আগে বাংলাদেশে ভারতের পাঁচটি ভিসা কেন্দ্রে প্রতিদিন ৭,০০০ অনলাইন স্লট বরাদ্দ ছিল। বর্তমানে এটি কমিয়ে ৫০০-তে আনা হয়েছে। ফলে হাজারো রোগী চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে পারছেন না।

 

 


ভারতের বিভিন্ন নামকরা হাসপাতাল, যেমন কলকাতার পিয়ারলেস, বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হেলথ, চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো, এবং ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ (সিএমসি), বাংলাদেশি রোগীর অভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে আগে দৈনিক ১৫০ জন বাংলাদেশি রোগী আসতেন, যা এখন কমে মাত্র ৩০ জনের নিচে নেমে এসেছে।

 

 


ভারতের স্বাস্থ্যসেবা অ্যাসোসিয়েশনের আলেকজান্ডার থমাস বলেছেন, এই সংকট শুধু অর্থনৈতিক নয়; বরং রোগীদের জন্যও মারাত্মক। ভিসা সহজ করার মাধ্যমে এই সংকট কাটিয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

 

 


বাংলাদেশি রোগীদের ভিসা প্রাপ্তিতে এই সংকট ভারতের চিকিৎসা খাতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। দুই দেশের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ নিশ্চিত করা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি।

ভারতীয় ভিসা সংকটের প্রভাব: বাংলাদেশের রোগী কমায় চিকিৎসা খাতে বিপর্যয়