ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩০ আগস্ট, ২০২৪ | ১:০ এএম
অনলাইন সংস্করণ
ভারতে চাহিদার তুলনায় অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিম্নমুখী
৩০ আগস্ট, ২০২৪ | ১:০ এএম
![ভারতে চাহিদার তুলনায় অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিম্নমুখী](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/08/30/20240830132056_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
জাপানের প্রধান প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদনকারী অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কারণে উৎপাদন কমেছে। ফলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে পণ্যটির। এরই মধ্যে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ছে জাপানি রাবারের। গতকাল পণ্যটির দাম বেড়ে গত ১৩ বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।
ওসাকা এক্সচেঞ্জে (ওএসই) ফেব্রুয়ারির সরবরাহ চুক্তিতে রাবারের দাম আগের দিনের তুলনায় ২ দশমিক ২ ইয়েন বা দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি কেজির মূল্য স্থির হয়েছে ৩৭৪ ইয়েন (২ ডলার ৫৯ সেন্ট)।
দিনব্যাপী লেনদেনের এক পর্যায়ে এখানে প্রতি কেজি রাবারের মূল্য দাঁড়ায় ৩৭৫ দশমিক ৫ ইয়েনে, যা ২০১১ সালের ১ সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে সাংহাই ফিউচারস এক্সচেঞ্জ (এসএইচএফই) জানুয়ারিতে সরবরাহের চুক্তিতে জাপানি রাবারের দাম আগের দিনের তুলনায় টনে ৬৫ ইউয়ান বা দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টনের মূল্য পৌঁছেছে ১৬ হাজার ৭৪০ ইউয়ান (২ হাজার ৩৪৭ ডলার ৬৬ সেন্ট)।
চাইনিজ ফাইন্যান্সিয়াল ইনফরমেশন সাইট হেক্সুন ফিউচারসের একটি নোট অনুযায়ী, থাইল্যান্ড ও ইউনান প্রদেশের প্রধান উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোয় বৃষ্টিপাতের কারণে রাবার উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া থাইল্যান্ডের অনেক অঞ্চলে বন্যা হয়েছে, যা রাবার সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে ঊৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোয় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এতে সরবরাহ আরো কমে যাবে।
থাইল্যান্ডের রফতানিযোগ্য স্মোকড রাবার শিট (আরএসএস৩) ও ব্লক রাবারের দাম যথাক্রমে ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ ও দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে ৯৩ দশমিক ৬ বাথ (২ ডলার ৭৫ সেন্ট) ও ৬৭ দশমিক ৫৭ বাথে (১ ডলার ৯৯ সেন্টে) দাঁড়িয়েছে।
এদিকে প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদনে উল্লম্ফন দেখা গেলেও চাহিদার তুলনায় তীব্র সরবরাহ ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। চাহিদার তুলনায় দেশটিতে প্রাকৃতিক রাবারের উৎপাদন ৫৫ লাখ টন কম হয়েছে। সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শশী সিং (এআইআরআইএ) এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ভারতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টন প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদন হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে ৮৫ লাখ ৭০ হাজার টনে পৌঁছেছে। সে হিসেবে ভারতে উৎপাদন বাড়লেও ব্যবহার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় চাহিদার তুলনায় প্রয়োজনীয় রাবারের জোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
![ভারতে চাহিদার তুলনায় অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিম্নমুখী](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)