ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:৫০:১১ পিএম

ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমেছে ১৫ শতাংশ

২৩ জুন, ২০২৪ | ৮:৩০ পিএম

ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমেছে ১৫ শতাংশ

চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র (এলসি) খুলতে না পারায় ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই- মার্চ) ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। পাশাপাশি নিষ্পত্তি কমেছে ২০ শতাংশেরও বেশি।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২- ২৩ অর্থবছরের (জুলাই-মার্চ) সময়ে ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল ৬১৪ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের। যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে এসে দাঁড়িয়েছে ৫২৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলারে। সে হিসাবে চলতি

 

বছরের প্রথম ৯ মাসে এলসি খোলা কমেছে ৯০ কোটি ৫ লাখ ডলারের। এলসি খোলার হার কমেছে ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।


এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছিল ৬০৩ কোটি ২৩ লাখ ডলারের। চলতি ২০২৩- ২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ভোগ্যপণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৮২ কোটি ১৮ লাখ ডলারের। সে হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ১২১ কোটি ৫ লাখ ডলারের এলসি কম নিষ্পত্তি হয়েছে। শতকরা হিসাবে এলসি নিষ্পত্তির হার হ্রাস পেয়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আমদানিকারকরা জানান, ডলার-সংকটের চাপ সামলাতে বিলাসী পণ্যের ওপর কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করা হলেও তা একটা পর্যায়ে নিত্যপণ্যের ওপরও পড়েছে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল ১ হাজার ৭৯১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের। আর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে শিল্পের কাঁচামালের এলসি খোলা হয়েছে ১ হাজার ৭৬৬ কোটি ১২ লাখ ডলারের। সে হিসাবে ২৫ কোটি ২৬ লাখ ডলারের এলসি কম খোলা হয়েছে।

 

একইভাবে গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ২ হাজার ৮২ কোটি ১৪ লাখ ডলারের। আর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৬২৭ কোটি ২৯ লাখ ডলারের। সে হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ৪৫৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের এলসি কম নিষ্পত্তি হয়েছে।

ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমেছে ১৫ শতাংশ