ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:১৯:১৪ এএম

ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ফরেন চেম্বারের উদ্বেগ

১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১:০ পিএম

ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ফরেন চেম্বারের উদ্বেগ

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই বা ফিকি) সাম্প্রতিক ভ্যাট এবং অন্যান্য কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত সাধারণ ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং ব্যবসা পরিচালনার খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

 

 

ফিকি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই ধরনের নীতি প্রণয়ন পর্যাপ্ত গবেষণা বা অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই করা হয়েছে, যা বিদেশি এবং দেশীয় বিনিয়োগকারীদের আস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাদের মতে, নীতি সংশোধনের আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করার বিষয়টি দেশীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করবে, যা দেশের ব্যবসা পরিবেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে নেতিবাচক বার্তা প্রদান করবে।

 

 

এফআইসিসিআই আরও জানায়, ভ্যাটের হার ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যের দাম বাড়াবে, যার ফলে খুচরা পর্যায়ে প্রায় আড়াই শতাংশ খরচ বৃদ্ধি হতে পারে। এর ফলে, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাদের কিনতে আগ্রহ কমিয়ে দিতে পারে, যা সরকারের রাজস্ব কমানোর কারণ হতে পারে।

 

 

সংগঠনটি সরকারের কাছে এই পরিবর্তনগুলো পুনর্বিবেচনা এবং পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, তাদের উচিত এমন কৌশল গ্রহণ করা যা শিল্পগুলোকে বিক্রয় বাড়ানোর উৎসাহ প্রদান করবে। বিক্রয় বাড়ানোর ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাজস্ব আহরণ বাড়বে।

 

 

এফআইসিসিআই আরও বলেছে, যদি একটি অভিন্ন ভ্যাট হারের অধীনে শতভাগ ইনপুট ভ্যাট পুনরুদ্ধারযোগ্য হয়, তাহলে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট বাড়ানোর প্রভাব ন্যূনতম হবে। তবে বর্তমানে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের অনেক ক্ষেত্রে ইনপুট ভ্যাট পুনরুদ্ধার অযোগ্য, যা শিল্পগুলোকে খরচ কমানোর দিকে পরিচালিত করবে এবং এর চূড়ান্ত প্রভাব হবে পণ্যের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোক্তাদের মধ্যে চাহিদার হ্রাস। এর ফলে সামগ্রিক রাজস্ব কমে যেতে পারে এবং সরকারের উচ্চ করের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধির কৌশল কার্যকর হবে না।

 

 

এফআইসিসিআই বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই)-এর ৯০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে, যার মধ্যে তামাক, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি, এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ উচ্চ-রাজস্ব প্রদানকারী খাতগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ফরেন চেম্বারের উদ্বেগ