ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ভ্যাট সিস্টেমে প্রাইভেট সেক্টরের এক্সপার্টিজের গুরুত্ব: কদম আলী ও এনবিআর কর্মকর্তার আলোচনা
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:১৩ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
🔹কদম আলী: (হাস্যরসে) তো, ভাইয়েরা! একটা প্রশ্ন আছে। ভ্যাট সিস্টেম চালু করতে পারবে এনবিআর একাই, নাকি প্রাইভেট সেক্টরের এক্সপার্টদের সাহায্য লাগবে?
🔹 এনবিআর কর্মকর্তা: (গম্ভীরভাবে) আমরা এনবিআর সব সময়ই চেষ্টা করছি সঠিক ভ্যাট সিস্টেম চালু করার। কিন্তু আমাদের কাছে এত বড় ডেটা এবং বুদ্ধিমত্তা না থাকার কারণে সবসময় এককভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় না।
🔹 কদম আলী: (উত্তেজিত হয়ে) সঠিক, ভাই! আপনি বলছেন, কিন্তু যদি আমরা প্রাইভেট সেক্টরের এক্সপার্টিজ না নিয়ে কাজ করি, তাহলে তো সিস্টেমের ঘাটতি থেকেই যাবে। আপনি বুঝতে পারছেন, প্রাইভেট সেক্টরের বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়া শুধু এনবিআর এর আইনি দিক দিয়ে শুধু ভ্যাট সিস্টেম চালানো খুবই কঠিন!
🔹 এনবিআর কর্মকর্তা: (চিন্তিত হয়ে) কিন্তু আমাদের এক্সপার্টদের কাছে তো কোনো অভিজ্ঞতা নেই! আমাদের পক্ষে সব ব্যবসায়ীদের সমস্যার সমাধান দেওয়াও কঠিন।
🔹 কদম আলী: (ব্যাখ্যা করে) ঠিক তাই, ভাই। আপনি যদি প্রাইভেট সেক্টরের এক্সপার্টদের সাথে কাজ করেন, তারা আপনাকে সাহায্য করতে পারবে সেই প্রাকটিক্যাল দিক থেকে, যেটি এনবিআরের আইনি কাঠামো থেকে সম্ভব নয়। তারা জানে কিভাবে ব্যবসায়ীরা বাস্তবে ভ্যাট পদ্ধতিতে সমস্যা অনুভব করে, আর কিভাবে সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়।
🔹 এনবিআর কর্মকর্তা: (উদ্বিগ্ন হয়ে) আপনি কী বলতে চাচ্ছেন? সোজা কথা, আমাদেরই তো নিজেদের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে!
🔹 কদম আলী: (হাস্যরসে) একদম! কিন্তু আপনি জানেন, প্রাইভেট সেক্টর তাদের সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়ে থাকে, যেটি আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না। আর আপনি যদি প্রাইভেট সেক্টরের এক্সপার্টদের সাহায্য নিয়ে সিস্টেম ডিজাইন করেন, তাহলে সিস্টেমের কার্যকারিতা অনেক বেশি হবে! যেমন, এফডি মেশিনের কার্যক্রম, ডিজিটাল ট্র্যাকিং—এগুলো সব তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আরও উন্নত করা সম্ভব।
🔹 এনবিআর কর্মকর্তা: (বিস্মিত হয়ে) তো আপনি বলছেন যে, শুধু এনবিআরের কনসালটেন্টদের সাহায্য নয়, প্রাইভেট সেক্টর এবং তাদের অভিজ্ঞতা পুরো সিস্টেমের জন্য জরুরি?
🔹 কদম আলী: (বিশ্লেষণ করে) একদম! ভ্যাট সিস্টেম এমন একটা বিষয়, যেখানে সরকার, ব্যবসায়ী, এবং প্রাইভেট এক্সপার্ট—এই তিন পক্ষের সমন্বয়ই সবচেয়ে বড় শক্তি। সুতরাং, যদি আপনি শুধু আইনি কাঠামো মেনে চলেন, তাহলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা এড়িয়ে যেতে পারেন না!
🔹 এনবিআর কর্মকর্তা: (কৌতূহলী হয়ে) তাহলে আপনি কি পরামর্শ দেন, কিভাবে এনবিআর এবং প্রাইভেট সেক্টরের এক্সপার্টদের মধ্যে একে অপরের সহায়তা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যেতে পারে?
🔹 কদম আলী: (উত্তেজিত হয়ে) আমি বলছি, আপনি যদি প্রাইভেট সেক্টরের এক্সপার্টদের সাথে একটি কমিশন বা কনসালটেন্সি বোর্ড তৈরি করেন, যেখানে তারা তাদের অভিজ্ঞতা ও সমাধান দিবে, তাহলে এনবিআর পলিসি রিফর্ম অনেক দ্রুত এবং সঠিকভাবে কার্যকরী হবে!
🔹 এনবিআর কর্মকর্তা: (মুচকি হাসি দিয়ে) আপনি কিন্তু বড়ো কথা বলে ফেলেছেন! তবে, এটা কি আমাদের সরকারের জন্য ব্যয়বহুল হতে পারে?
🔹 কদম আলী: (সাবলীলভাবে) না ভাই, ব্যয়বহুল নয়! আপনার পলিসি রিফর্ম সঠিকভাবে হলে, ব্যবসায়ীরা দ্রুত সঠিক ভ্যাট দিতে শিখবে, এবং এর ফলে রাজস্ব প্রবাহও বাড়বে। সুতরাং, লাভই লাভ।
🔹 এনবিআর কর্মকর্তা: (শান্তভাবে) বুঝতে পারছি, আপনার কথা! তবে আমাদের ভ্যাট সিস্টেমে আরেকটা বিষয় হলো প্রযুক্তির অভাব। প্রাইভেট সেক্টরের সাহায্য ছাড়া আমরা কি প্রযুক্তিগত সমাধান পেতে পারব?
🔹 কদম আলী: (উত্তেজিত হয়ে) একদম! প্রাইভেট সেক্টরের সাহায্য ছাড়া প্রযুক্তি ব্যবহার করা কঠিন, কারণ তারা জানে কোন প্রযুক্তি কাজ করবে এবং কোনটা নয়! এফডি মেশিন, সফটওয়্যার, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম—এ সব কিছু প্রাইভেট সেক্টরের এক্সপার্টরা ভালো জানে।
🔹 এনবিআর কর্মকর্তা: (স্মার্টলি) আপনার কথায় অনেক যুক্তি আছে! সুতরাং, আমাদের প্রাইভেট সেক্টর এবং এনবিআর একে অপরকে সহযোগিতা করলে, আমরা সঠিক ভ্যাট সিস্টেম চালু করতে পারব।
🔹 কদম আলী: (হাস্যরসে) একদম! এটা সবারই লাভ হবে—আপনারও, আমাদেরও, আর দেশের অর্থনীতিরও
