ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৯ আগস্ট, ২০২৪ | ১২:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
মসলার বাজারে খানিক স্বস্তি, আগুন ডিমের বাজার
২৯ আগস্ট, ২০২৪ | ১২:২৫ পিএম
![মসলার বাজারে খানিক স্বস্তি, আগুন ডিমের বাজার](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/08/29/20240829123500_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাজারে শাকসবজি, আটা-ময়দা, ডাল, ভোজ্যতেলসহ একাধিক পণ্যের দাম কমতি। এর মধ্যে সব ধরনের মসলার দাম নতুন করে কিছুটা কমেছে । পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, চিনি ও গুঁড়াদুধের দাম আরেক দফা বেড়েছে। ফলে বাজারে পণ্য কিনতে এসে ক্রেতাদের মনে একটু অস্বস্তি বিরাজ করছে। বাজারে মানভেদে মসলা পণ্য বেচাকেনো হচ্ছে। আজ রাজধানীর মিরপুর ১ নাম্বর কাঁচা বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
মসলা বিক্রেতা রায়হানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে এলাচের দামটা একটু বাড়তি। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, যা এক মাস আগে ২৬শ’ থেকে ২৭শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা, যা আগে ৫৫০ টাকা ছিল। ৭০০ টাকার প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
সপ্তাহের ব্যবধানে ১২০০ টাকা কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে আমদানি করা রসুন ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, যা আগে ৩৫০ টাকা ছিল। পাশাপাশি প্রতি কেজি কিশমিশ বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকা, যা আগে ৬০০ টাকা ছিল।
রাজধানীর মিরপুর বাজারের মসলা বিক্রেতা রায়হান বলেন, বাজারে এখন মানভেদে মাসলা পণ্য বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ার পণ্য ছাড়া অন্য সব দেশের মসলা পণ্যের দামে কিছুটা স্বস্তি। তিনি বলন বড় বড় কোম্পানি গুলো যদি তদারকি করা যায় তাহলে মসলা পণ্যের দাম আরো কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে ডিমের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কিছুদিন স্বস্তিতে পার হওয়ার পর আবারও বেড়েছে ডিমের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হালিতে ডিমের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। কোনো কারণ ছাড়াই কারসাজির মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ডিমের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা।
আজ (২৯ আগষ্ট) রাজধানীর মিরপুর কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৬০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৫০ টাকায়। কোথাও কোথাও ১৫৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। আর সুপারশপগুলোতে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়।
খুচরায় ছোট আকারের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। আর একটু বড় আকারের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। কোথাও কোথাও ডিমের হালি ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সুপারশপগুলোতে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। অন্যদিকে হাঁসের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আর দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।
মিরপুর বাজারের ডিম ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগে এক ডজন ডিম বিক্রি করেছি ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায়। এখন বিক্রি করছি ১৩৫ থেকে ১৬০ টাকায়। ডজনে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, কোনো কারণ ছাড়াই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিমের দাম বাড়িয়েছে পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
![মসলার বাজারে খানিক স্বস্তি, আগুন ডিমের বাজার](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)