একজন দক্ষ ভ্যাট পেশাজীবী পারে সঠিক ভ্যাট ব্যবস্থাপনার দ্বারা ব্যবসায়ের উন্নয়ন, সরকারের সঠিক ভ্যাট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করতে। সেটা তিনি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি জীবী বা ভ্যাট কনসালট্যান্ট হোন না কেন। উন্নত দেশ সমূহে ভ্যাট কনসালটেন্টগণ হল অথরিটির সাথে মূল বার্গেনিং গ্রুপ যারা বানসায়ই ও সরকারি সংস্থার সংযোগ স্থাপন করে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভ্যাট কনসালট্যান্ট গ্রুপ তৈরি হয় নাই বলে ব্যবসায়ী ও এনবিআর এর মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যা ন্যায্য ভ্যাট আদায়ের মূল প্রতিবন্ধকতার বলে ধারণা করা হয়।

আরও পড়ুন

বিজয় দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উৎযাপন

সে সমস্যা সমাধানের জন্য দ্য রিয়েল কনসালটেশন ও ভ্যাটবন্ধু নিউজ বিগত পাঁচ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে সেই ধারাবাহিকতার আজকের এই গুরুত্ব পূর্ণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাব মাহফুজুর রহমান উন্নতম পরিচালক হাতিল গ্রুপ, সভাপতিত্ব করেন জনাব মাসুদুর রহমান এফসিএ। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যাট কর্মকর্তা ভ্যাট কনসালটেন্টগণ ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীগণ।

ভ্যাট প্রফেশনাল দের কাজের দক্ষতা, ব্যবসায়ীর ভ্যাট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অডিট কার্যক্রম সহজ করার লক্ষ্যে ভ্যাট প্রোফেশনাল গাইড লাইন তৈরি ও উপস্থাপন করেন টিআরসি এর লিড কনসালট্যান্ট মোঃ আলীমুজ্জামান।

বিষয়টির উপর আলোচনা করেন ব্যারিস্টার ফয়েজ আহম্মেদ তিনি বলেন মূসক ৪.৩ কাদের দাখিল করতে হবে, ৪.৩ মূল্য কি মূল্য ঘোষণা? তাহলে ফিল্ড লেভেলে ঝামেলা পড়তে হবে।

জবাব আহসান হাবিব ভ্যাট কনসালট্যান্ট তার আলোচনায় তুলে ধরেন : সুপারসপ এর ভ্যাট সঠিক ভাবে আসায় করা হচ্ছে না, নিবন্ধন প্রাপ্তি দেরি করে, পাঁচ বছর অ্যানুয়াল ভ্যাট অডিট রিপোর্টার হেড অনুসারে ভ্যাট, আইন জটিলতা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মাহফুজুর রহমান বলেন, কমপ্লায়েন্স করার পর বুজলাম, নন কমপ্লায়েন্স প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসায় করা কত টাফ। বিজয় দিবস এর অঙ্গীকার হোক ভ্যাটের পরিধি বৃদ্ধি করে অধিক ভ্যাট আদায়ের ওয়ে আউট এনবিআর কে গাইড করা।

জনাব মাসুদুর রহমান এফসিএ সভাপতির ভাষণে বলেন, বাবস্য ও অ্যাকাউন্টস সিস্টেম যদি ভ্যাট কমপ্লায়েন্স এর সাথে অমিল থাকে তাহলে ভ্যাট হয়রানি মুক্ত বাবসা করা যাবে না। এনবিআর কে সহযোগিতা করা ছাড়া ভ্যাট আদায়ের পরিধি বাড়ানো সম্ভব হবে না।

উপস্থিত সকল সদস্যদের সম্মতি ক্রমে ভ্যাট প্রফেশনাল দের নিয়ে একটি ফোরাম গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
যার প্রধান কার্যক্রম হবে
1. প্রতিমাসে অনলাইন সেমিনার করা এবং ফিল্ড লেভেলে কাজ করা দের সমস্যার বাস্তব ভিত্তিক সমাধান দেওয়া
2. ভ্যাট আইনের কনডেক্টরি বা আইনের জটিলতা তৈরি হলে সেটা সমাধান করতে এনবিআর কে অনুরোধ করা প্রয়োজনীয় সমাধান করতে।
3. গাইড লাইন অনুসারে ভ্যাট প্রফেশনাল দের দক্ষ কর, হাবসায়ীগণকে কমপ্লায়েন্স হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।
4. এনবিআর সে গাইড লাইন অনুসরণ করে অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং ভ্যাট দায় তৈরি না হলে হয়রানি করা হবে মর্মে সার্টিফিকেট দেওয়া।
5. ব্যবসায়ের সেক্টর ধরে ভ্যাটের নীতিমালা তৈরি ও চ্যাট আদায়ের পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ায় এনবিআর কে সহযোগিতা করা
যারা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের আলাদা কমিটি সহ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করবেন। আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন।