ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৪:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মোংলা বন্দরের ৭৪ বছর পূর্তি উদযাপন: উন্নয়নে এগিয়ে চলার প্রতিশ্রুতি
১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৪:৫২ পিএম
![মোংলা বন্দরের ৭৪ বছর পূর্তি উদযাপন: উন্নয়নে এগিয়ে চলার প্রতিশ্রুতি](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/01/20241201165216_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা ৭৪ বছর পূর্ণ করে ৭৫ বছরে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে রবিবার (১ ডিসেম্বর) আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের সদর দফতর থেকে জেটির মূলফটক পর্যন্ত র্যালি অনুষ্ঠিত হয় এবং বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বেলুন উড়িয়ে দিবসের শুভ সূচনা করেন। এরপর তিনি কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপন সম্পন্ন করেন।
মোংলা বন্দরের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথম ব্রিটিশ বাণিজ্যিক জাহাজ ‘দ্য সিটি অব লিয়ন্স’ সুন্দরবনের পশুর নদীতে নোঙর করার মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৫৩ সালে এটি বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৭৭ সালে এটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং ১৯৮৭ সালে নামকরণ হয় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান জানান, বন্দরের উন্নয়নের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিং সম্ভব হবে। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু হলে জাহাজ থেকে নিঃসৃত তেল এবং বর্জ্য দূষণ রোধ করা যাবে। একই সঙ্গে বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বার্ষিক ১.৫০ কোটি টন কার্গো এবং চার লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বর্তমানে বন্দর চ্যানেলে বিদেশি জাহাজ চলাচলকে আরও সহজ করতে ৬৯টি নেভিগেশন বয়া স্থাপন করা হয়েছে। একসঙ্গে ৪৭টি জাহাজ নোঙরের সুবিধা থাকায় আমদানি-রফতানিতে গতি এসেছে। বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের পণ্য দ্রুত পরিবহন সম্ভব হবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোংলা বন্দরে কার্যক্ষমতার উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনে ২.৩০ শতাংশ, কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে ৯.৭২ শতাংশ, এবং কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ১৬.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথমবারের মতো আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে প্রতি ঘণ্টায় ২৪টিরও বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হচ্ছে।
উপস্থিত অতিথিরা বন্দরের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। বন্দরের কার্যক্রমে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বন্দর সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কিবরিয়া হক, সদস্য (অর্থ) কাজী আবেদ হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বন্দর চেয়ারম্যান জানান, মোংলা বন্দরের উন্নয়ন কেবল দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের ট্রানজিট পণ্য পরিবহনেও এই বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করবে।
- ট্যাগ সমূহঃ
- মোংলা
- বন্দর
- প্রতিশ্রুতি
![মোংলা বন্দরের ৭৪ বছর পূর্তি উদযাপন: উন্নয়নে এগিয়ে চলার প্রতিশ্রুতি](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)