ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৩৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বাড়ছে লেনদেন
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৩৬ এএম

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আস্থা দিন দিন বাড়ছে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে। গত বছরের নভেম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে রেকর্ড লেনদেন হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ওই মাসে মোট ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। এর মানে হলো, প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার ২২৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে এই মাধ্যমের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, নভেম্বর মাসে ক্যাশ ইন হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা এবং উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়েছে ৫০ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। এছাড়া, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা হয়েছে ২ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা, বেতন-ভাতা দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৬৩২ কোটি, পণ্য কেনাকাটায় ৭ হাজার ৭৭৫ কোটি এবং রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৭৭ কোটি টাকার।
মোবাইল ব্যাংকিং বা মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) এখন দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে তাৎক্ষণিক আর্থিক লেনদেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এতে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা বিতরণ, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর মতো সেবা পাওয়া যায়। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, নগদসহ ১৩টি এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান দেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো ২৩ কোটি ৭৩ লাখ গ্রাহককে সেবা প্রদান করছে, যাদের মধ্যে এক মাসে ১৬ লাখ নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছে।
২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করার পর ২০১১ সালে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা শুরু হয়। এরপর বিকাশ, নগদ, রকেটসহ নানা প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান শুরু করে। বর্তমানে এই সেবার বেশিরভাগ দখলে রয়েছে বিকাশ। এমএফএস সেবার মাধ্যমে বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ, যেমন গাড়িচালক, নিরাপত্তাকর্মী, গৃহকর্মী এবং পোশাক খাতের শ্রমিকরা তাদের বেতন এবং পরিবার-পরিজনদের কাছে টাকা পাঠাতে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করছেন।
এভাবে মোবাইল ব্যাংকিং দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে, যেখানে নগদ টাকার লেনদেন কমে আসছে এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে মানুষ ধীরে ধীরে ঝুঁকছে।
- ট্যাগ সমূহঃ
- মোবাইল
- ব্যাংকিংয়ে
- লেনদেন
- বাড়ছে
