বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকবে। তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আমাদের বিদ্যমান কর আহরণের হার এবং করজাল সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন

রমজানে দ্রব্যমূল্য সর্বোচ্চ সহনশীল করার চেষ্টা করব: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী এবং সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান উপস্থিত ছিলেন।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুথান পরবর্তী সময়ে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অস্থিরতা এবং বিভিন্ন স্থানে অপ্রত্যাশিত বন্যার কারণে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছিল। তবে, ইতোমধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ অবস্থার সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি জানান, সরকারের প্রচেষ্টায় চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কাজ চলছে।

এ সময় ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বাংলাদেশে এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরামর্শ দেন, বিশেষ করে আমদানি-রফতানি নীতিমালা, রাজস্ব কাঠামো, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিক নীতিমালা, জাতীয় বাজেট ও মুদ্রানীতি সহ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট কাঠামোর সংস্কার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, কোভিড মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা এবং ২০২৪ সালে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিতে পারেনি। এর জন্য তিনি সরকারের কাছে এলডিসি উত্তরণের সময়সীমা পিছিয়ে নেওয়ার আবেদন করেন এবং ‘বাস্তবভিত্তিক উত্তরণ কৌশল (এসটিএস)’ প্রণয়ন করতে আহ্বান জানান।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এলডিসি ইস্যুকে দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, বেসরকারি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নীতি সহায়তা ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

বৈঠকে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ আরও বলেন, আসন্ন রমজানে ভ্যাট বা ট্যাক্স বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত নয়। তিনি বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং বৃদ্ধি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কঠোর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।