ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৬:১৬:০০ পিএম

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চ সুদের চাপে বিনিয়োগ স্থবির, ঋণ প্রবৃদ্ধি ৪২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৫৫ এএম

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চ সুদের চাপে বিনিয়োগ স্থবির, ঋণ প্রবৃদ্ধি ৪২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

ছবি: সংগ্রহীত

দেশে একের পর এক শিল্পকারখানা বন্ধ হওয়ায় বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৪২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ৭.৬৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এ প্রবৃদ্ধি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত ৯.৮০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২.১৪ শতাংশ কম।

 


গত ছয় মাসে তৈরি পোশাক খাতের ১০০টির বেশি কারখানা বন্ধ হয়েছে। টেক্সটাইল, সিমেন্ট, ইস্পাত ও কাগজ শিল্পের অনেক কারখানাও বন্ধ হয়েছে। কেয়া গ্রুপ সম্প্রতি চারটি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। এ পরিস্থিতি রাজনৈতিক অস্থিরতা, ঋণপত্র খোলার অভাব, উচ্চ সুদহার এবং বাজার অস্থিতিশীলতার কারণে আরও খারাপ হয়েছে।

 


বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ সুদের হারে ঋণ প্রদান করছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি ২১.৯০ শতাংশ কমে গেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে যেখানে ১১১ কোটি ডলারের আমদানি হয়েছিল, চলতি বছরে তা নেমে এসেছে ৮৬ কোটি ডলারে।

 


সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগও ৮.৮০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বেকারত্ব বেড়ে ২৬ লাখ ৪০ হাজারে পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতি কর্মসংস্থানের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।

 


অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, অধিকাংশ ব্যাংক ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে এখন আরও রক্ষণশীল হচ্ছে। ঋণের ঝুঁকি কমাতে ব্যাংকগুলো এখন যথাযথ জামানতের ওপর জোর দিচ্ছে।

 


দেশের অর্থনীতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, উচ্চ সুদহার এবং শিল্পকারখানা বন্ধের প্রভাব সুস্পষ্ট। বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চ সুদের চাপে বিনিয়োগ স্থবির, ঋণ প্রবৃদ্ধি ৪২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন