ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৯:৫৪:০২ পিএম

রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা জানতে চাইল আইএমএফ

৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:৩৩ এএম

রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা জানতে চাইল আইএমএফ

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। রাজস্ব আদায়ের নিম্নগতি এবং অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের ঘাটতি এ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিদেশি ঋণ পরিশোধে ফের ঋণ গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার, যা অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায় বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

 

গত ৩ ডিসেম্বর আইএমএফের মিশন বাংলাদেশ সফরে এসেছে। তারা অর্থ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এনবিআরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করছে। গত বৃহস্পতিবার এনবিআরের আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস উইংয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফ।

 

এতে বলা হয়, নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে হলে আগের তুলনায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা বেশি আদায় করতে হবে। কীভাবে এ অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করা হবে, তার পরিকল্পনা দিতে বলেছে আইএমএফ। এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, এ পরিকল্পনা চলতি মাসের মধ্যেই পেতে চায় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।

 

এনবিআরের সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সার্বিকভাবে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ৩০ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। অর্থবছরের শুরুর পর জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের কোনো মাসেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি এনবিআর। লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতার পাশাপাশি যোগ হয়েছে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি।

 

গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ১১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ২৮১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এ সময়ে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ৩০ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ০৩ শতাংশ।

 

আইএমএফের একটি মিশন বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে। তারা অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, এবং এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করছে। এ মাসেই এনবিআরের পরিকল্পনা ওয়াশিংটনে আইএমএফ বোর্ডে উপস্থাপন করা হবে।

 

অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণে ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা এবং বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা কমানো বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এনবিআর নতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারলে তা অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা জানতে চাইল আইএমএফ