ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:১৩:৩৮ এএম

লুটপাট হচ্ছে রেলের যন্ত্রাংশ, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

১৮ জুলাই, ২০২৪ | ৪:৫০ পিএম

লুটপাট হচ্ছে রেলের যন্ত্রাংশ, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

২০১১ সালের ৪ জুলাই বন্ধ হয়ে যায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নীলগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। ফলে হাজারো মানুষ যাতায়াত ও মালপত্র পরিবহন করতে না পেরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এতে রেলওয়ে যেমন কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি চুরি হচ্ছে বন্ধ স্টেশনের দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। অন্যদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে স্টেশন এলাকা।

 

 

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়া ও স্টেশনমাস্টার সংকটসহ নানা কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় স্টেশনগুলো তদারকি করাও সম্ভব হচ্ছে না। তবে লোকবল নিয়োগ দেওয়ার পর বন্ধ স্টেশনগুলো চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

 

 


জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নীলগঞ্জ রেলস্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো থামে না ট্রেন।


স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একসময়ের ব্যস্ত স্টেশনে সময়ের পরিক্রমায় শোনা যায় না কোনো হুইসেল। নেই আগের মতো কর্মব্যস্ততাও। চারদিকে এখন সুনসান নীরবতা। নীলগঞ্জ স্টেশন আবার চালু করতে বিভিন্ন সময় দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে কাজ হয়নি তাতে। স্টেশন বন্ধ থাকায় নিয়মিত সংকেতদান, টিকিট বিক্রি ও মালামাল বুকিংসহ বন্ধ রয়েছে সব কার্যক্রম।

 

 

তারা আরো জানান, স্বাধীনতার আগে থেকেই নীলগঞ্জ রেল স্টেশনটি বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক স্টেশন হিসেবে পরিচিত ছিল। আশপাশের বিশাল এলাকার লোকজন যাতায়াত ও কৃষি পণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে স্টেশনটির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০১১ সালের ৪ জুলাই লোকবল প্রত্যাহার করে স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঐ এলাকার লাখো মানুষ।

 



মাইজকাপন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুনরায় স্টেশনটি চালুর ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য তৎকালীন এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লিখিত ও মৌখিকভাবে বারবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। অবিলম্বে স্টেশনটি চালুর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তিনি।

 

 


মাইনখাপন ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসার জন্য নীলগঞ্জ একটি প্রসিদ্ধ এলাকা। কিন্তু এখানে ট্রেন না থামায় বাজারের ব্যবসায় ধস নেমেছে। যাত্রীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জেলা শহরে গিয়ে ট্রেনে উঠতে হয়।

 

 


মাইজকাপন ইউপির সাবেক সদস্য কামরুজ্জামান বিপ্লব জানান, ঐতিহ্যবাহী নীলগঞ্জ স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় জনগণ দুর্ভোগে পড়েছেন। তাই দ্রুত স্টেশনটি চালুর দাবি জানান তিনি।

 


কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার মো. মিজানুর রহমান জানান, লোকবল সংকটের কারণে স্টেশনটি বন্ধ হয়ে গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। নতুন লোকবল নিয়োগ হলে বন্ধ স্টেশনগুলো চালু হয়ে যাবে’

 

লুটপাট হচ্ছে রেলের যন্ত্রাংশ, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার