ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৬:৫৪:০৭ পিএম

শনিবার থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে: ট্রাম্প

তবে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আসা তেলের ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৭:০ পিএম

শনিবার থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে: ট্রাম্প

ছবি: সংগ্রহ

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আসা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এসব দেশ থেকে আসা তেলের ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে কি না, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। 

 

ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য বিপুল সংখ্যক অনিবন্ধিত অভিবাসী ও ফেন্টানিল প্রবেশ রোধ করা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো।

 

এসময় ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, তিনি এখন চীনের ওপর নতুন শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করছেন। চলতি মাসের শুরুতে তিনি এটিকে ১০ শতাংশ বলে উল্লেখ করেছিলেন, তবে বিস্তারিত কিছু বলেননি।


তিনি বলেন, "চীন নিয়ে আমি আরও কিছু ভাবছি, কারণ তারা আমাদের দেশে ফেন্টানিল পাঠাচ্ছে। আর এর ফলে শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই চীনকেও এ কারণে শুল্ক দিতে হবে। আর আমরা সে প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছি।"

 

নির্বাচনী প্রচারণার সময় চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউজে ফেরার প্রথম দিনে তিনি তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং প্রশাসনকে বিষয়টি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন।

 

২০১৮ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের আমদানি স্থিতিশীল রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এর পেছনে ট্রাম্পের প্রথম দফার শাসনামলে ধারাবাহিক শুল্ক বৃদ্ধির বড় ভূমিকা রয়েছে।

 

চলতি মাসের শুরুতে চীনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা সুরক্ষা-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ট্রাম্পের ফিরে আসায় বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে আবারও বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেননি।

 

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বক্তব্য দিতে গিয়ে চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং শুয়েশিয়াং বলেন, তার দেশ বাণিজ্য উত্তেজনার সমাধানে "উভয়ের জন্য লাভজনক" উপায় খুঁজছে এবং আমদানি বাড়াতে চায়।

 

কানাডা ও মেক্সিকো জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের বিরুদ্ধে পালটা ব্যবস্থা নেবে। একই সঙ্গে তারা ওয়াশিংটনকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে, সীমান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ মোকাবিলায় তারা পদক্ষেপ নিচ্ছে।

 

যদি কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা তেলের ওপর শুল্ক বসানো হয়, তাহলে তা জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়ে ট্রাম্পের দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

 

শুল্ক হলো বিদেশে উৎপাদিত পণ্যের ওপর বসানো আমদানি কর। তত্ত্ব অনুযায়ী, কোনো দেশে আসা পণ্যের ওপর কর বসালে সেগুলোর দাম বেড়ে যায়। ফলে মানুষ সেগুলো কেনার সম্ভাবনা কমে যায়। শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্য হলো, মানুষ সস্তা দেশীয় পণ্য কেনার দিকে ঝুঁকবে, যা অর্থনীতিকে চাঙা করতে পারে।

 

তবে আমদানি করা জ্বালানির ওপর শুল্কের খরচ ব্যবসা ও ভোক্তাদের ওপর পড়তে পারে। ফলে পেট্রোল থেকে শুরু করে মুদি সামগ্রী পর্যন্ত সব কিছুর দাম বাড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের তেল শোধনাগারে ব্যবহৃত অপরিশোধিত তেলের প্রায় ৪০ শতাংশ আমদানি করা হয়। এর বেশিরভাগই আসে কানাডা থেকে।

শনিবার থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে: ট্রাম্প