ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:১১ এএম
অনলাইন সংস্করণ
শুল্ক বাড়ানোর ফলে, ফলের দাম কেজিতে ৫০-৯০ টাকা বাড়তি
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:১১ এএম

ছবি: সংগ্রহ
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর চলতি অর্থবছরে আমদানি করা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক দ্বিতীয় দফায় বাড়ানোর ফলে ফলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাবে, পাঁচটি ফলের দাম প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ৯০ টাকা বেড়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য ফল কেনা কঠিন করে তুলেছে। ফলের নিয়মিত ক্রেতারা এখন কিনে খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৯ জানুয়ারি আমদানি করা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, বাজারে দেখা গেছে, কালো আঙুরের দাম ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫০ টাকা কেজিতে, সাদা আঙুর ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে, আফ্রিকার আপেল ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজিতে, কমলা ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে এবং নাশপাতি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এর আগে, এসব ফলের দাম ছিল অনেক কম।
মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ফলের দাম বেড়েছে এবং ক্রেতাদের আগ্রহ কমে গেছে। কারওয়ান বাজারের এক ফল বিক্রেতা জানান, শুল্ক বাড়ানোর পর তাদের বিক্রি অনেক কমে গেছে, কেউ কেউ ব্যবসা বন্ধও করে দিচ্ছেন। রাজধানীর পশ্চিম তেজতুরি বাজারের এক চাকরিজীবী ক্রেতা বলেন, তিনি আগে মাসে পাঁচ কেজি ফল কিনতেন, এখন তা কমিয়ে দুই কেজি করতে হয়েছে।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফআইএ) এই শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব স্থল ও নৌবন্দরে আমদানিকৃত ফল খালাস বন্ধের হুমকি দিয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ফলের ওপর বর্ধিত শুল্ক ব্যবসায়ীদের জন্য অসহনীয় এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে ফল।
এদিকে, ফলের ওপর শুল্ক বাড়ানোর পর ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস করতে সমস্যা অনুভব করছেন এবং শিপিং ও পোর্টে জরিমানা দিতে হচ্ছে, যার ফলে তারা ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
